জাতীয়

নতুন ৫ থার্মাল স্ক্যানার বসানোর কাজ শুরু

রাজধানীর হযরত শাহজালাল, চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও সিলেটের ওসমানীসহ তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে নতুন পাঁচটি থার্মাল স্ক্যানার সরবরাহ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

Advertisement

ইতোমধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরে সরবরাহ করা দুটির মধ্যে একটি মেশিন বসানো হয়েছে। আরও একটি স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দর এবং বেনাপোল স্থলবন্দরে বুধবারের (১১ মার্চ) মধ্যেই থার্মাল স্ক্যানারগুলো স্থাপিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণের (সিডিসি) লাইন ডিরেক্টর ডক্টর শাহনিলা ফেরদৌসী।

মঙ্গলবার বিকেলে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নতুন থার্মাল স্ক্যানারটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে স্থাপিত হয়েছে। সোমবার (৯ মার্চ) যাত্রীদের চাপে সক্রিয় থাকা একটি থার্মাল স্ক্যানারের আর্চওয়ে ভেঙে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে সেটি মেরামত করে কার্যকর করা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে একটি থার্মাল স্ক্যানার মেশিন চট্টগ্রামে এসে পৌঁছায়। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই স্ক্যানার মেশিনটি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। মেশিনটি বসানোর পর এই স্ক্যানারের মধ্য দিয়ে যাত্রীদের বের করা হবে।

Advertisement

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে তিনজন আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এর মধ্যে দুজন ইতালিফেরত। এদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এ তিনজনের পরিবারের ৪০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৫৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৮২৮ জন। বিশ্বের ১০৯টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৫৭ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৩৬ জনের। চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৫১৩ এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের।

চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ইতালিতে। দেশটিতে একদিনেই ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬৩ জনে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১৭২ জনে। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইতালি সরকার। অপরদিকে, ইরানে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ১৬১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ২৩৭ জন।

এমইউ/এমএসএইচ/জেআইএম

Advertisement