৯০-এর এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, ছাত্রদল ও শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদ।শনিবার সকালে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিএনপি, ছাত্রদল, জেহাদ স্মৃতি পরিষদ। ছাত্রদল সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিএনপির পক্ষে দলটির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আব্দুল খালেক, সদস্য আব্দুল ওহাব, শহীদ জেহাদ স্মৃতি সংসদের পক্ষে সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও জেহাদের বড় বোন চামেলী মাহমুদ, বড় ভাই কেএম বশির, কেএম শরাফ উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম শহিদ এবং ছাত্রদলের পক্ষে সহ সভাপতি নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শহীদ জেহাদ স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর এরশাদবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সাত দলীয় জোটের পল্টন ময়দানে মহাসমাবেশ এবং সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন ছাত্রদল নেতা কেএম নাজির উদ্দিন জেহাদ। ওই দিন তিনি পুলিশের গুলিতে মারা যান। শহীদ জেহাদ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। তিনি একই উপজেলার নবগ্রামের মৃত কেএম মাহমুদের ছেলে।এদিকে দিনটি স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও শহীদ জেহাদ পরিষদ। শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এক বাণীতে বলেছেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেন এই অকুতোভয় ছাত্রনেতা। তার রক্ত স্রোতের ধারা বেয়ে ওই বছরই সংঘটিত হয় গণঅভ্যুত্থান, পতন হয় স্বৈরশাসক এরশাদের।’এমএম/এসকেডি/এমএস
Advertisement