আন্তর্জাতিক

৫ দিনে প্রকাশ পায় করোনার উপসর্গ: গবেষণা

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের পাঁচদিনের মধ্যেই আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে অসুস্থতার লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে। অনেক ক্ষেত্রে এতে ১২ দিনের মতো সময় লাগে। করোনা সংক্রমণ নিয়ে নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। সোমবার অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ গবেষণায় দেখা গেছে, ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ করোনা রোগীর শরীরে ১২ দিনের মধ্যে উপসর্গ প্রকাশ পেয়েছে। তবে, গড়ে এ সময়সীমা ছিল মাত্র পাঁচদিন। অর্থাৎ, ভাইরাস সংক্রমণের পাঁচদিনের মধ্যেই বেশিরভাগ রোগীর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা গেছে।

Advertisement

আমেরিকান কলেজ অব ফিজিশিয়ান জানিয়েছে, নতুন এ গবেষণা প্রতিবেদনের সঙ্গে আগের ধারণাকৃত ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন সময়সীমার মিল রয়েছে। গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কিছুদিনের মধ্যেই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, কারও শরীরে করোনা সংক্রমণের সন্দেহ থাকলে তাকে দুই সপ্তাহ আলাদা রাখা উচিত। কারণ, শরীরে করোনাভাইরাস থাকলে এই সময়ের মধ্যেই তার লক্ষণ প্রকাশ পাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের বিজ্ঞানীরা চীনের উহানে করোনা সংক্রমণ শুরুর পরপরই বাইরের অন্তত ৫০টি এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্য প্রতিবেদন নিয়ে গবেষণা চলান। একেবারে প্রারম্ভিক পর্যায়ে হওয়ায় তখনও ওইসব অঞ্চলে সম্প্রদায়ভিত্তিক সংক্রমণের সুযোগ ছিল না। অর্থাৎ, সেখানে করোনার একমাত্র প্রবেশের উপায় ছিল বহিরাগতদের আগমনের মাধ্যমে। গবেষণায় দেখা যায়, ১৮১ জনের শরীরেই পাঁচ থেকে ১২ দিনের মধ্যে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ প্রকাশ পেয়েছে।

গবেষকরা জানান, মৌসুমী ফ্লুতে আক্রান্ত হলে সাধারণত লক্ষণ প্রকাশ পেতে সময় লাগে এক থেকে চারদিন। করোনার মতো এতেও সর্দি, কাশি, জ্বর, গলায় খুসখুস প্রভৃতি উপসর্গ দেখা যায়। সেক্ষেত্রে দুটোরই একই উপসর্গ থাকায় প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ধারণে ভুল হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। চলতি মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ মৌসুমী ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য অঞ্চলে। এ পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ১১৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। এতে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ২৭ জনের, আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৪২২ জন। এর মধ্যে ৬৪ হাজার ৮১ জন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।

সূত্র: সিএনবিসি

কেএএ/এমএস

Advertisement