দেশজুড়ে

রাজশাহীর ৩ স্টেডিয়াম হবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার

সন্দেহভাজন করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হবে রাজশাহীর তিনটি স্টেডিয়াম। তবে এখনও পাওয়া যায়নি করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ যন্ত্র। দুই সপ্তাহ আগেই করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ যন্ত্র চেয়ে আবেদন করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সোমবার (৯ মার্চ) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে বিশেষ সভা হয়েছে। সভায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য, রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান চৌধুরী, উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস, রামেকের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সেখান থেকে বেরিয়ে রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, করোনাভাইরাস চিকিৎসায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হচ্ছে নগরীর সপুরা এলাকায় অবস্থিত জেলা মুক্তিযোদ্ধা স্টেডিয়াম, তেরোখাদিয়া এলাকায় অবস্থিত শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান স্টেডিয়াম ও মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্টেডিয়াম। এখানেই সন্দেহভাজন রোগীদের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে। কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেই নেয়া হবে রামেক হাসপাতাল ও ইনফেকশন ডিজিস (আইডি) হাসপাতালে। আক্রান্তদের চিকিৎসায় ১৮ শয্যার এই হাসপাতালটিতে ১২ শয্যা বাড়িয়ে ৩০ শয্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে করোনার চিকিৎসায় রামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের তিনটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। একটি দল রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে জ্বর -সর্দির মতো উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন।সআরেকটি দল সার্বক্ষণিক নজর রাখবেন রামেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। আর অপর একটি দল কাজ করবেন আইডি হাসপাতালে।

Advertisement

করোনার চিকিৎসা উপকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, রাজশাহীতে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ যন্ত্র থার্মাল স্ক্যানার নেই। দুই সপ্তাহ আগেই করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ যন্ত্র চেয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগিরই এসব চলে আসবে। রামেক হাসপাতালে ৫ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা প্রশাসক হামিদুল হককে আহ্বায়ক ও সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হককে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আলাদা কমিটি করা হয়েছে।

বিয়ষটি নিশ্চিত করে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগের সব দফতর সমন্বিতভাবে কাজ শুরু করেছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। তবে জনস্বার্থে আগাম সতর্কতা হিসেবে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।

Advertisement

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/এমএস