নদীকেন্দ্র চাঁদপুরের পুকুর ও হ্যাচারির পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আয়রন থাকায় গবেষণার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এ সমস্যার কারণে দীর্ঘ দিন ইনস্টিটিউটের পাঙাশ ও কার্ভ হ্যাচারি দুটি এক রকম বন্ধ হয়ে আছে। ফলে দেশীয় পাঙাশ প্রজনন করতে গিয়ে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে।এতে করে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পুকুর থেকে দেশীয় পাঙাশ বেসরকারি হ্যাচারিতে নিয়ে প্রজননের চেষ্টা করা হয়েছে। এ অবস্থায় ইনস্টিটিউটের পানি আয়রন মুক্ত না হলে গবেষণা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মাঝে হতাশা লক্ষ্য করা গেছে। তবে স্বচ্ছ পানির জন্য মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদীকেন্দ্র চাঁদপুরে আয়রন রিমোবিং প্লান্ট স্থাপন করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।উল্লেখ্য মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদীকেন্দ্র চাঁদপুরে পুকুরে ইলিশ চাষ, দেশীয় পাঙাশের পোনা উৎপাদনসহ বিভিন্ন মাছের গবেষণা কার্যক্রম চলে আসছে। এছাড়া একমাত্র কার্ভ হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদনও করা হতো। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পানিতে মাত্রারিক্ত আয়রন পাওয়া যাচ্ছে। যার ফলে হ্যাচারি দুটিতে গবেষণা ও পোনা উৎপাদন করে বাঁচানো বা গবেষণার কোনো সফলতা পাওয়া যাচ্ছে না। ইনস্টিটিউটের পুকুরের পানিও পরিবর্তন করে ইলিশ মাছ ও দেশীয় পাঙাশ মাছ রাখা হচ্ছে।এ কারণে এ সকল মাছ রক্ষা করাও এখন হুমকির মুখে বলে মৎস্য বিশেষজ্ঞরা জাগো নিউজকে জানিয়েছেন। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদীকেন্দ্র চাঁদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাসুদ হক খান জাগো নিউজকে জানান, পানিতে আয়রনের মাত্রা অনেক বেশি। যার জন্য উৎপাদিত পোনা বাঁচানো কষ্ট হয়ে পড়ছে। পাঙাশ হ্যাচারিতে দেশীয় পঙিাশের পোনাও রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।বিএফআরআইর প্রকল্প পরিচালক ড. খান কামাল উদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে জানান, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদীকেন্দ্রের পানিতে অতিরিক্ত আয়রনের কারণে পাঙাশ ও কার্ভ হ্যাচারির কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে তিনি এ নদীকেন্দ্রে খুব শিগগিরই একটি আয়রন রিমোবিং প্লান্ট নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন। এটি নির্মিত হলে এ সমস্যা থাকবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।ইকরাম চৌধুরী/এসএস
Advertisement