প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, লোকবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা চালু করতে না পারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সে অনুযায়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম।
Advertisement
গতকাল রোববার (০৮ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতা ও সচেতনতামূলক সভা করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর সন্ধান পাওয়া গেলে প্রথমে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হবে। এরপর স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) অধীনে চলবে রোগীর চিকিৎসা।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম জাগো নিউজকে বলেন, বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সটিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হচ্ছে। তবে আমাদের কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাব রয়েছে। সেগুলো সরবরাহের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেছি। হাসপাতালের মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডটি পরিচ্ছন্ন করে রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেখানে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রেখে করোনাভাইরাসের লক্ষণ বা উপসর্গ দেখলে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেখানে আইইডিসিআরের অধীনে চিকিৎসা হবে।
২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর এলাকায় তিন একর জায়গা নিয়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণকাজ শুরু হয়। চারতলা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন ও চিকিৎসকদের জন্য কোয়ার্টার নির্মাণে ব্যয় হয় ২৫ কোটি টাকা। নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির উদ্বোধন করেন।
Advertisement
আধুনিক অবকাঠামোর এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ওয়ার্ড, মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডসহ কেবিন এবং তিনটি অস্ত্রোপচার কক্ষ রয়েছে। কিন্তু এসব থাকার পরেও রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চালু করা যাচ্ছে না শুধুমাত্র লোকবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে।
আজিজুল সঞ্চয়/এএম/জেআইএম