বিল গেটস এবং তার দাতব্য সংস্থা করোনা ভাইরাসের পরীক্ষায় নতুন ধরনের হোম-টেস্টিং কিট বিতরণ করবেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল অঙ্গরাজ্যে এ ধরনের টেস্টিং কিট বিতরণ করা হবে।
Advertisement
এসব টেস্টিং কিটের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেছে এমন লোকজন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারবেন এবং নমুনা বিশ্লেষণের জন্য ল্যাবে পাঠাতে পারবেন।
এক বা দু'দিনের মধ্যেই এসব পরীক্ষার ফলাফল জানা সম্ভব হবে। সিয়াটল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কারো শরীরে যদি করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে তবে এ বিষয়টি অবশ্যই স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জানাতে হবে।
যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা সম্প্রতি কোথায় ভ্রমণ করেছেন বা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সে বিষয়টিও জানাতে হবে। এটা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জন্য করোনায় আক্রান্তের বিষয়ে তথ্য পাওয়া সহজ করে দেবে। এতে খুব কম সময়েই জানা যাবে যে, কারা এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বা কাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে।
Advertisement
এর আগে করোনাভাইরাস শনাক্ত, ভ্যাকসিনের কাজ এগিয়ে নেওয়া, আইসোলেশন এবং চিকিৎসার জন্য ১০ কোটি ডলার দান করেছেন বিল গেটস দম্পতি। তাদের বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এই অর্থ দান করা হয়।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, যত দ্রুত সম্ভব টেস্টিং কিটের উৎপাদন এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। তবে কবে নাগাদ এসব কিট বিতরণ করা হবে তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৫৫৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ২২ জন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ওয়াশিংটনে। সেখানে কমপক্ষে ৮০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে কমপক্ষে ১৮ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই সিয়াটল এলাকার একটি নার্সিং হোমের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
অপরদিকে, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৫৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৮২৮ জন। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত ৬২ হাজার ২৭৬ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
Advertisement
বিশ্বের ১০৯টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৩৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১১৯ জনের। চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৩৮২ এবং মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের।
চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ইতালিতে। দেশটিতে একদিনেই ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৬ জনে। এদিকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩৭৫ জনে।
টিটিএন/এমকেএইচ