আইন-আদালত

মাস্ক নিয়ে পেঁয়াজের মতো ব্যবসা যেন না হয় : হাইকোর্ট

করোনা প্রতিরোধের বিষয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, মাস্ক ব্যবহারে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে। তবে, মাস্ক নিয়ে পেঁয়াজের মতো ব্যবসা হচ্ছে কি-না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি তদারকি করা দরকার, কেউ যাতে বেশি দাম না নিতে পারেন এবং মজুত না করতে পারেন।

Advertisement

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কিত প্রতিবেদনের ওপর শুনানিতে এসব কথা বলেন হাইকোর্ট। সোমবার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই শুনানি হয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি জানাতে আগামী ৫ এপ্রিল পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

আদালত বলেছেন, মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্কতামূলক নির্দেশনাগুলো দিতে হবে।

Advertisement

এর আগে ৫ মার্চ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চান হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই তথ্য জানানোর জন্য বলা হয়েছিল।

আদালত তিনটি মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। প্রথমত: স্থলবন্দর, নৌবন্দর, বিমানবন্দর, বিশেষ করে বিমানবন্দরে যখন বিদেশিরা বাংলাদেশে আসছেন, তখন তাদের কী ধরনের পরীক্ষা করা হচ্ছে, যারা পরীক্ষা করছেন তারা প্রশিক্ষিত কি-না এবং যে যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে সেগুলোর সক্ষমতা রয়েছে কি-না তা জানাতে বলেছেন।

দ্বিতীয়ত: সারা বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসের জন্য পৃথক কেবিনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রাক প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আদালত সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি সব বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও করোনাভাইরাসের জন্য প্রাক প্রস্তুতিমূলক সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেছিলেন।

তৃতীয়ত: প্রত্যেকটি হাসপাতালে বা বন্দরে যেখানে শনাক্তের জন্য করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজন হবে সেখানে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম রয়েছে কিনা, যদি না থাকে জরুরি ভিত্তিতে আমদানি করার জন্য সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন আদালত।

Advertisement

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর দেশে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যায়। পরে প্রায় মাসখানেক পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার নিচে নামেনি।

এফএইচ/এনএফ/পিআর