মানুষের জন্য এক অজানা আতঙ্ক করোনাভাইরাস। এ ভাইরাস থেকে পবিত্র কাবা শরিফকে মুক্ত রাখতে কিছুদিন মূল চত্ত্বরে তাওয়াফ বন্ধ ছিল। সে সময় বিশেষ জীবানুনাশক স্প্রে দিয়ে পরিচ্ছন্ন করা হয়। এবার কাবা শরিফকে করোনাভাইরাস মুক্ত রাখতে তাওয়াফ চত্ত্বরে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সৌদি সরকার।
Advertisement
আরব নিউজ সূত্রে জানা যায়, ‘কাবা শরিফ থেকে নির্ধারিত দূরত্বে দুই স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা বেড়িকেড (দেয়াল) তৈরি করে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে মূল তাওয়াফ চত্ত্বর। এ সংক্ষিপ্ত চত্ত্বর দিয়ে স্থানীয়রা তাওয়াফ করছে পবিত্র কাবা শরিফ। তাওয়াফকারীদের করোনাভাইরাস মুক্ত রাখতে এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সৌদি আরবের হারামাইন কর্তৃপক্ষ।
কাবা শরিফে এ দূরত্ব বজায় রেখে তাওয়াফের ব্যবস্থার কারণ হলো-তাওয়াফকারীরা আবেগ ও ভালোবাসায় পবিত্র কাবা শরিফে স্পর্শ করে, মুলতাজেম-এ বুক ঠেকিয়ে এবং হাজরে আসওয়াদ ও রোকনে ইয়ামেনিতে স্পর্শ ও চুম্বন করে থাকে। আর এতে সংক্রামক রোগ করোনাভাইরাস ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পরতে পারে।
তাই কোনো তাওয়াফকারী যাতে কাবা শরিফের রোকনগুলো হাত দ্বারা স্পর্শ কিংবা চুম্বন করতে না পারে সে জন্য দুই স্তরের বেরিকেড (দেয়াল) দেয়ার মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ব্যারিকেডের আওতায় রয়েছে-
Advertisement
- রোকনে হাজরে আসওয়াদ।- মুলতাজেম।- মিজাবে রহমত।- হাতিমে কাবা।- রোকনে ইয়ামেনি এবং- মাকামে ইবরাহিম।
শনিবার থেকে কাবা শরিফের মূল চত্ত্বর তাওয়াফকারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রেখেই এ তাওয়াফ কার্যক্রম শুরু করেছে সৌদি আরবের হারামাইন কর্তৃপক্ষ।
যাতে কাবা শরিফের তাওয়াফকারীরা করোনাভাইরাস মুক্ত থাকতে পারে। এ নিয়ে দুই পবিত্র মসজিদের প্রধান ইমাম শায়খ আব্দুর রহমান সুদাইসি এ ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহর প্রতি সতর্কতামূলক নসিহত পেশ করেছেন।
উল্লেখ্য যে, কাবা শরিফের মূল মাতআফে ক্ষুদ্র পরিসরে তাওয়াফের ব্যবস্থা করলেও বন্ধ রয়েছে ওমরাহ পালন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ওমরাহ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কাবা শরিফের প্রধান ইমামসহ মক্কা-মদিনার অন্যান্য ইমাম এবং বিশ্ব বিখ্যাত ইসলামিক স্কলাররা সৌদি সরকারের ওমরার ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে শরিয়ত সম্মত বলে আখ্যা দিয়েছেন।
Advertisement
এমএমএস/এমকেএইচ