ইতালির সেনাপ্রধান সালভাতোর ফারিনা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে তার নিজের বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তার পরিবর্তে ইতোমধ্যেই নতুন একজনকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। খবর আরটি।
Advertisement
এর আগে ফারিনা এক বিবৃতিতে বলেন, শরীর খারাপ লাগছিল বলে তিনি নিজেই আইসোলেশনে ছিলেন। এরপরেই তার করোনাভাইরাসের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিকে ফারিনার অসুস্থতার খবর সামনে আসার পরই জেনারেল ফেডেরিকো বোনাতোকে নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবার করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর বিশ্বের ১০৯টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে। দেশটিতে একদিনেই নতুন করে ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৬ জনে।
অপরদিকে, দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩৭৫ জনে। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইতালি সরকার। লোম্বারদিয়াসহ ১৪টি প্রদেশে ৮ মার্চ থেকে আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরি জারি থাকবে। ওই ১৪ প্রদেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষের বসবাস করে।
Advertisement
এ অবস্থার পর কেউ ওই এলাকা থেকে প্রবেশ এবং প্রস্থান করতে পারবে না বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। অর্থাৎ তারা অনেকটা বন্দি জীবন-যাপন করছেন। দেশের সব স্কুল, কলেজ, জিম, নাইটক্লাব এবং বিভিন্ন বন্ধ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী গিসেপে কন্তে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৫৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৮২৮ জন। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত ৬২ হাজার ২৭৬ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
অপরদিকে, শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৩৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১১৯ জনের। চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৩৮২ এবং মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের।
টিটিএন/এমকেএইচ
Advertisement