করোনা ভাইরাস আতঙ্কে চলতি বছর হজে যেতে ইচ্ছুক প্রাক নিবন্ধনকারী হাজার হাজার হজযাত্রী ব্যাংকে নির্ধারিত টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করছেন না। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জনসহ সর্বমোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর কোটা পূরণের লক্ষ্যে গত ২ মার্চ থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে।
Advertisement
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আজ (রোববার) দুপুরে সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হজ-২০২০ এর নিবন্ধন কার্যক্রম ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুুতি সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত এক প্রেসবিফ্রিংয়ে জানান, করোনাভাইরাস আতঙ্কে এ বছর হজনিবন্ধনের হার খুবই হতাশাজনক। গত ছয়দিনে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭২৫ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৪৮ জন নিবন্ধন করেছেন। তিনি নির্ভয়ে ধর্ম মন্ত্রনালয়ের বেঁধে দেয়া ১৫ মার্চের মধ্যে হজ গমনেচ্ছুদের নিবন্ধনের টাকা জমা দেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নিবন্ধনের পর সৌদি আরবে মোয়াল্লিম নির্ধারণ, মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া করা ও আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটানোর জন্য সৌদি আরবে অর্থ প্রেরণের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়াও হজে যাওয়ার আগে একজন হজযাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকা গ্রহণ, হজের প্রশিক্ষণ গ্রহন, বিমানের টিকেট সংগ্রহ ও ভিসা প্রসেসসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এ কাজগুলো করতে দুই মাস সময় লেগে যাবে।
গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছরের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তবে যা কিছুই হোক না কেন হজ নির্ধারিত ৯ জিলহজ পালিত হবে। সেদিনটিকে মাথায় রেখে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে হাজিরা যেন নির্বিঘ্নে হজ করতে পারেন সে লক্ষ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় সব কাজ সময় মতো করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ধর্ম মন্ত্রনালয়ের পক্ষে যতদিন সম্ভব হজ নিবন্ধনের জন্য সময় বৃদ্ধি করা হবে।
Advertisement
এমইউ/এনএফ/এমকেএইচ