রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণিমার মরদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ রোববার (৮ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে চারঘাট উপজেলার টাঙন পূর্বপাড়া এলাকার পদ্মা নদী থেকে নিখোঁজ আঁখি খাতুনের (২৫) ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আঁখি খাতুন নিখোঁজ পূর্ণিমার খালা। বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করেন।
Advertisement
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর বিজিবি জলযান ঘাট এলাকা থেকে স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় উদ্ধার করা হয় নিখোঁজ শিশু রুবাইয়ার (১০) মরদেহ। রুবাইয়া নববধূ পূর্ণিমার ফুফাতো বোনের মেয়ে।
এর আগে দুর্ঘটনার পর শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরা হলেন- নববধূ পূর্ণিমার চাচা শামীম (৪০), চাচি মনি বেগম (৩৫), তাদের মেয়ে রশ্মি (১০), পূর্ণিমার দুলাভাই রতন আলী (২৮), ভাগনি মরিয়ম (৮) এবং খালাতো ভাই এখলাস (২৮)।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরেছেন বর আসাদুজ্জামান রুমনসহ ৩২ যাত্রী। তারা সবাই নববধূ পূর্ণিমার পরিবারের।
Advertisement
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) পদ্মার ওপারের পবা উপজেলার চরখিদিরপুর এলাকার ইনসার আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান রুমনের সঙ্গে একই উপজেলার ডাঙেরহাট এলাকার শাহীন আলীর মেয়ে সুইটি খাতুন পূর্ণিমার বিয়ে হয়। শুক্রবার (৬ মার্চ) বরের বাড়ি থেকে দুটি নৌকায় বর-কনেকে নিয়ে আসছিল কনেপক্ষ। সন্ধ্যা ৭টার দিকে নৌকা দুটি রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর ডিসির বাংলো এলাকায় পদ্মা নদীতে ডুবে যায়। এতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/এমএস