মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামের সামসুল আলম ওরফে সামসুল কসাইয়ের লালসার শিকার ষষ্ট শ্রেণির এক ছাত্রী এখন মৃত্যু শয্যায়। ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রী পাঁচ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়লে তার গর্ভপাত ঘটিয়েছেন অভিযুক্ত সামসুল। এ ঘটনায় সামসুলের শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে গ্রামবাসী। ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাস পাঁচেক আগে মহিষাখোলা গ্রামের সামসুল কসাইয়ের বাড়িতে তার মেয়ের সহপাঠীকে স্কুলে যাওয়ার জন্য ডাকতে যায়। এ সময় পরিবারের লোকজন না থাকার সুযোগে ওই ছাত্রীকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে সামসুল কসাই। প্রাণনাশের হুমকিকে ওই ছাত্রী বিষয়টি বাড়ির লোকজনকে না জানালেও কয়েকদিন আগে তার শরীরের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পারে। অবস্থা বেগতিক দেখে গত বুধবার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ছাত্রীর গর্ভপাত ঘটায় সামসুল। কিন্তু প্রভাবশালী সামসুলের অব্যাহত হুমকিতে আইনগত ব্যবস্থার দিকে যেতে পারছিলেন ছাত্রীর দিনমজুর বাবা। শুক্রবার বিকেলে ওই ছাত্রী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন বিষয়টি জানাজানি হলে সামসুলের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বিকেলে গ্রামের লোকজন বিক্ষোভ মিছিল করে। গাংনী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রীর পরিবার কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এদিকে ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত সামসুল কসাই আত্মগোপন করেছেন। এসএস/এমএস
Advertisement