ইউরোপে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী দেশ ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আরও অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজারের কাছাকাছি। করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় উত্তরাঞ্চলীয় লোম্বার্ডি এবং আরও ১১টি প্রদেশ অবরুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইতালির সরকার। এসব অঞ্চলের সব জিম, সুইমিং পুল, যাদুঘর, স্কি রিসোর্টসহ কোলাহলপূর্ণ স্থানগুলো আগামী এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
Advertisement
ইতালিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৮৩ জন। এর মধ্যে শনিবারই নতুন করে অন্তত ১ হাজার ২০০ জনের শরীরে প্রণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৩ জন।
ইতালীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেশটির অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র মিলান, জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ভেনিসসহ বেশ কয়েকটি শহরে জনসমাগম ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা রোববার থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। প্রয়োজনে এ সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে।
জানা যায়, ইতালির লোম্বার্ডি অঞ্চলে অন্তত এক কোটি মানুষের বসবাস। এছাড়া অবরুদ্ধ ঘোষিত ১১টি প্রদেশে বাস করে আরও ছয় কোটি মানুষ। ফলে নতুন নিষেধাজ্ঞায় দেড় কোটিরও বেশি মানুষ কোয়ারেন্টাইনে পড়ছেন। ইতোমধ্যেই দেশটির উত্তরাঞ্চলের ৫০ হাজার মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
Advertisement
বন্ধ হচ্ছে কী কীনিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত অঞ্চলের সব নাইট ক্লাব, সুইমিং পুল, যাদুঘর, স্কি রিসোর্ট বন্ধ থাকবে। ক্যাফে ও রেস্টুরেন্টগুলো খোলা রাখা যাবে, তবে ক্রেতাদের অন্তত এক মিটার দূরত্বে বসতে হবে।স্থানীয়দের যথাসম্ভব বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে তিন মাসের জেলও হতে পারে। এছাড়া, সবধরনের ফুটবল ম্যাচ বাতিল করেছে ইতালির ফুটবল প্লেয়ার্স ইউনিয়ন।
বিশ্বেজুড়ে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬ হাজার ১৯৫ জন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০০ জন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত ৬০ হাজার ১৯০ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিশ্বের অন্তত ১০৩টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/পিআর
Advertisement