মহামন্দার সময় কাজের সুযোগ অনেক কমে গিয়েছিলো। বিনোদনও বলতে গেলে ছিলো লুপ্তপ্রায়। এর ফলে অনেক পরিবারকে করুণ দিনযাপন করতে হয়েছে। তেমনি একটি পরিবার সালিভান ফ্যামিলি। যারা সার্কাস দিয়ে জীবন ধারণ করতো।
Advertisement
১৯৩০-এর মহামন্দায় তাদের সার্কাসটি আর্থিকভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই ক্ষতিকে অতিক্রম করে সালিভান পরিবারের দুই বোন সার্কাসটিকে আবারও জনপ্রিয় করে তুলে। আন্তর্জাতিক মানের একজন জাদুকরকে দলে নিয়ে এমিলি জেন এবং লুলা সালিভান আর্থিক অনটন থেকে তাদের সার্কাসকে পুনরুদ্ধার করতে পেরেছিলেন।
সালিভান সিস্টারদের এই সংগ্রামী জীবনের গল্প উঠে এসেছে ‘ড্রিম অ্যা সার্কাস টেল’ নামক নাটকে। এই নাটকটি মঞ্চস্থ করে দর্শকের মন ভরিয়ে দিলো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)- এর শিক্ষার্থীরা। গেল বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাতে আইএসডি স্কুল মিলনায়তনে ইংরেজি ভাষার নাটকটি মঞ্চস্থ হয়।
স্কুলের পারফর্মিং এবং ভিজ্যুয়াল আর্টস বিভাগের পরিচালক স্টেসি ওর্ট-বিলিংসলি স্কুলটির শিক্ষকবৃন্দ ও ৬ থেকে ১২ গ্রেডের ৫০ জনেরও অধিক শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় নাটকটির নির্দেশনা দেন।
Advertisement
নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়া প্রসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকার পারফর্মিং এবং ভিজ্যুয়াল আর্টস বিভাগের পরিচালক স্টেসি ওর্ট-বিলিংসলি বলেন, ‘আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা যে কোন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। এটি শিক্ষা কিংবা বিনোদন, যে কোনো ক্ষেত্রেই হতে পারে। তাদের উৎসাহ ছাড়া নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়া সম্ভব হতো না।
বিষয়টি সফলভাবে সম্পন্ন করা কোন সহজ কাজ না। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা দক্ষতার সাথে এটি করে দেখিয়েছে। আমি অভিভূত হয়েছি এত ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা কী দারুণ দক্ষতায় নাটকটি শেষ করলো এবং সবাইকে মুগ্ধ করলো।’
নাটক শেষে শিক্ষার্থীদের অভিনয়ের প্রশংসা করেন দর্শকও। দারুণ সব সংলাপে সাবলীল অভিনয়, গান ও নাচের ব্যঞ্জনায় প্রতিটি চরিত্র জীবন্ত হয়ে উঠেছিলো বলে দাবি করেন তারা।
এলএ/এমএস
Advertisement