করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদে হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববিতে প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। এ দুই পবিত্র মসজিদ এসময় জনমানব শূন্য ছিল। জনমাবন শূন্য কাবার সে দৃশ্য ওঠে এসেছে শিল্পির ক্যামেরায়। কাবা শরিফ মানুষশূন্য হলেও বন্ধ ছিল না মুহূর্তের জন্য কাবা ঘরের তাওয়াফ।
Advertisement
গত ২ মার্চ থেকে বিভিন্ন দেশের মানুষের জন্য মক্কায় ওমরাহ ও মদিনায় জিয়ারত নিষিদ্ধ করা হয়। তারপর সৌদি আরবের লোকদের জন্যও নিষিদ্ধ করা হয় মক্কা-মদিনায় প্রবেশ। ৬ মার্চ শুক্রবার সকালে খুলে দেয়া এ দুই পবিত্র মসজিদ।
শিল্পীর ক্যামেরায় জনমানবহীন কাবা ও মাতআফের ছবি দেখা যায়। কিন্তু সর্বশেষ কবে এমন জনমানব শূন্য কাবার এ দৃশ্য দেখেছে বিশ্ব তা বলা দুষ্কর। ছবিতে মানুষহীন কাবা ও তাওয়াফ চত্ত্বর দেখা গেলেও মসজিদে হারামের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় চলছে এ পবিত্র ঘরের তাওয়াফ।
মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সময় তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ধোয়া-মোছার কাজ চলছে অবিরাম। জীবানুনাশক বিশেষ স্প্রেও ছিটানো হয়েছে। জীবানুনাশক স্প্রে ছিটিয়ে রোগ প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে।
Advertisement
তবে মাতাফে (তাওয়াফের স্থান) স্প্রেসহ সাধারণ চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সময় মসজিদে হারামের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় তাওয়াফ চালু ছিল বলে এক্সপ্রেস নিউজকে জানিয়েছে হারামাইন কর্তৃপক্ষ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক টুইটারে পবিত্র কাবা শরিফের এক জনমানব শূন্য ছবিসহ এক বার্তায় ইসলামি গবেষক ডা. ইয়াসির কাজি বলেছেন, ‘সুবহান আল্লাহ! পবিত্র কাবা এখন জনমানবশূন্য। তাওয়াফ বন্ধ রয়েছে (মাতাফে)। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে কর্তৃপক্ষ হারাম শরিফ পরিষ্কার করছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন।’
কাবা শরিফের জনমানব শূন্য ছবি দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যগুলো ছিল এমন-- ‘আমার জীবনে প্রথমবারের মতো কাবা শরিফকে খালি দেখলাম।’- ‘একেবারেই বিরল ঘটনা।’
উল্লেখ্য যে, বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। চীনের হুবেইে প্রদেশের উহান শহর থেকে আবির্ভূত হওয়া এ ভাইরাস এখন ৮০টিরও দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে মারা গেছে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। গত বুধবার সৌদি আরবেরও ধরা পড়েছে এ ভাইরাসের উপস্থিতি। সর্বশেষ দেশটিতে ৫ জনের এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
Advertisement
এমএমএস/এমএস