চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ৭৫৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১,০২৭ জন নিহত ও ১,৩০১ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা যথাক্রমে ১৪১ ও ১৬৬।
Advertisement
১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন মহাসড়ক, জাতীয় সড়ক, আন্তঃজেলা সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে এসব প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা ঘটে। পরিবেশ ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক বেসরকারি সংগঠন গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) মাসিক জরিপ ও পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ২৪টি জাতীয় দৈনিক, ১২টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং ১০টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয় বলে শুক্রবার সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জিসিবির দফতর সম্পাদক শেখ সিরাজ আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জানুয়ারিতে ৩৫৭টি দুর্ঘটনায় ৭০ নারী ও ৭৫ শিশুসহ ৪৮৭ জন নিহত এবং ৬২২ জন আহত হন। ফেব্রুয়ারিতে ৩৯৮টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হন যথাক্রমে ৫৪০ জন ও ৬৭৯ জন। নিহতের তালিকায় ৭১ জন নারী ও ৯১টি শিশু রয়েছে।
জিসিবির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে জানান, তাদের পর্যবেক্ষণে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ১০টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
Advertisement
সেগুলো হলো-
১. সড়ক-মহাসড়কে মোটরবাইকসহ তিনচাকার যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি।
২. ব্যস্ত সড়কে স্থানীয়ভাবে তৈরি ইঞ্জিনচালিত ক্ষুদ্রযানে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন।
৩. চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা।
Advertisement
৪. ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল ও লাইসেন্সবিহীন চালক নিয়োগ।
৫. অদক্ষ চালকের কাছে দৈনিক চুক্তিভিত্তিক গাড়ি ভাড়া।
৬. বিধিলঙ্ঘন করে ওভারলোডিং ও ওভারটেকিং।
৭. বিরতি ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালানো।
৮. পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব।
৯. জনবহুল এলাকাসহ দূরপাল্লার সড়কে ট্রাফিক আইন ভাঙা।
১০. বিভিন্ন স্থানে সড়কের বেহালদশা।
এফএইচএস/জেডএ/পিআর