আন্তর্জাতিক

করোনা: চীনে মৃত্যুর মিছিলে আরও ৩০, কমছে আক্রান্তের হার

চীনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল এখনও থামেনি। বৃহস্পতিবার এই দলে শামিল হয়েছেন আরও ৩০ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪২ জন।

Advertisement

গতকাল চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন করে আরও ১৪৩ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছিল ১৩৯ জন। গতকাল এই সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও গবেষকদের হিসাবে, চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে এসেছে, বিশেষ করে ভাইরাসটির উৎস হুবেই প্রদেশের বাইরে।

বৃহস্পতিবার হুবেইয়ে মারা গেছেন আরও ২৯ জন, এর মধ্যে উহান শহরেই মৃত্যুর ঘটনা ২৩টি। চীনে এ পর্যন্ত ৮০ হাজার ৫৫২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।

দেশটিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত এক জ্যেষ্ঠ গবেষক জানিয়েছেন, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়েই উহান বাদে চীনের অন্য শহরগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার শূন্যের কোঠায় নেমে আসতে পারে।

Advertisement

ঝ্যাং বলি নামে ওই গবেষক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা সংক্রমণের প্রবণতা বিশ্লেষণ করেছি। ফেব্রুয়ারির শেষের দিক থেকে হুবেই ছাড়া অন্য এলাকাগুলোতে নতুন সংক্রমণ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।’

‘আমাদের বিশ্লেষণ অনুসারে আশা করি, উহান বাদে অন্য শহরগুলোতে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়েই নতুন করে করোনার সংক্রমণ বন্ধ হবে। আশা করা যায়, মার্চের শেষের দিকে উহানেও আর আক্রান্তের ঘটনা ঘটবে না।’

তিয়ানজিন ইউনিভার্সিটি অব ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনের পরিচাক ঝ্যাং বলেন, চীনের (উহান বাদে) বাকি অঞ্চলগুলোর বাসিন্দারা এপ্রিল নাগাদ মাস্ক খুলে ফেলতে পারবেন। তবে এর মানে এটা নয় যে, করোনাভাইরাস পুরোপুরি চলে যাবে। সেসময়ও বিদেশফেরতসহ কিছু ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। এরপর অন্তত ৮০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। এর মধ্যে চীনের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে অন্তত ৬ হাজার ২৮৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন ৪২ জন।

Advertisement

মৃত্যুর সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত ১৪৮ জন মারা গেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৮ জন। এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানেও ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত সাড়ে তিন হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১০৭ জন।

সূত্র: রয়টার্স, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

কেএএ/এমএস