বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী রোববার বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি। এ উপলক্ষে গোটা শিশু একাডেমিতে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। শুক্রবার বিকেলে সরেজমিন এ চিত্র দেখা যায়। সরেজমিন দেখা যায়, একাডেমি প্রাঙ্গনে শ্রমিকরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে দেয়ালে ঘষা মাজা করে ঝকঝকে তকতকে করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত বিশাল সাইজের ব্যানার কোথায় বসানো হবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা । প্রশাসনিক ভবন, অডিটরিয়াম, যাদুঘরসহ বিভিন্ন ভবনে নষ্ট লাইট বদলে নতুন লাইট লাগানো হচ্ছে। আমন্ত্রিত অতিথিদের বসার জন্য ভাড়া করা নতুন সোফা সেট অডিটরিয়ামে সাজিয়ে রাখছেন সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। পরিচালক থেকে শুরু করে শিক্ষক, কর্মকর্তা, পিয়ন-দারোয়ান, চাপরাশি কারও যেন এক দণ্ড কথা বলার ফুসরত নেই। পিছিয়ে নেই শিশু একাডেমিতে অধ্যয়নতরত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরাও। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাখতে বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষার্থীদের নাম শিক্ষকরা নিলেও শুক্রবার বিকেলে কেউ আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন কেউ পাননি। এ নিয়ে অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে এক শিক্ষক থেকে আরেক শিক্ষকের কাছে ছুটতে দেখা গেল। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে শনিবার কোন ক্লাস না হওয়ার ঘোষণা দেয়া হলো মাইকে।কয়েকজন অভিভাবক এ প্রতিবেদককে জানান, আহা, প্রধানমন্ত্রী যদি মাঝেমধ্যে এভাবে আসতেন তাহলে শিশু একাডেমির পরিবেশটা কতইনা ভাল থাকতো। শিশু একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় শিশু একাডেমিতে আসবেন। এদিন তিনি বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেয়ার পাশাপাশি একাডেমির বিভিন্ন ভবন ঘুরে দেখবেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিশু একাডেমির এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ইতিপুর্বে এসেছেন। কিন্তু এবার তার আগমনের সঙ্গে শিশু একাডেমির ভবিষ্যত জড়িত বলে জানান একাধিক কর্মকর্তা । তারা জানান, নিরাপত্তাজনিত কারনে শিশু একাডেমি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনা রয়েছে।শিশু একাডেমির বিভিন্ন সাংস্কৃতিক শিক্ষা যেমন গান, নাচ, আবৃত্তি, হাতের লেখা, গিটার, ইংরেজী শিক্ষায় বিভিন্ন বর্ষের প্রায় পাঁচ হাজার শিশু পড়াশুনা করছে। অন্যত্র সরিয়ে নিলে বিপুল সংখ্যক শিশুর বিকাশ ক্ষতিগ্রস্থ হবে । গত কয়েকমাস ধরে শিশু অভিভাবক ফোরামের ব্যানারে শিশু একাডেমি অন্যত্র সরিয়ে না দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্তভাবে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ না করলে শিশু একাডেমি অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে। তাই সবাই বুক ভরা আশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে ইতিবাচক বক্তব্য শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এমইউ/এএইচ/এমএস
Advertisement