বরিশাল জেলায় প্রজনন মৌসুমে (১৫দিন) নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৬৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাজা হিসেবে এসব জেলেকে সর্বোচ্চ ১ বছর থেকে সর্বনিম্ন ১৫ দিন পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হয়। জরিমানা করা হয় ২ লাখ ৮২ হাজার ৩শ টাকা। মামলা দায়ের হয় ২৬৬টি। আর এই সময়ে ইলিশ উদ্ধার হয়েছে ১ হাজার ৯২৩ কেজি। এসময় জব্দ করা জালের পরিমান ১১ লাখ ১৭ হাজার ৭শ মিটার।জেলার ১০ উপজেলার বিভিন্ন নদীতে ইলিশ শিকার বন্ধে এই ১৫ দিনে মৎস্য অধিদফতর, নৌবাহিনী, র্যাব-পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ৪৪৯টি অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয় ১৭৫ টি। জেলা মৎস্য বিভাগ এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি জানায়, এ পরিসংখ্যান হলো শুক্রবার সকাল ৮ টার। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার রাত ১২টায় এ অভিযান শেষ হবে। তাই রাত ১২টা পর্যন্ত আটক বা দণ্ডপ্রাপ্তের সংখ্যা বাড়তে পারে।তবে অভিযোগ উঠেছে, বিগত কয়েক বছরের মতো নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন নদী তীরবর্তী প্রভাবশালী ইলিশ ব্যবসায়ীরা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইলিশ নিধন করেছেন। নদীতে ইলিশ নিধন চলাকালে প্রশাসনকে জানানোর পরেও তারা রহস্যময় ভূমিকা পালন করেন। অনেক সময় লোক দেখানো অভিযান চালানো হয়। প্রভাবশালী ইলিশ ব্যবসায়ী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নিবৃত্ত করা যায়নি এবারও। তাই ১৫দিন ইলিশ নিধন বন্ধ রাখার কার্যাক্রম বিগত বছরগুলোর মতো এবারও প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যাচ্ছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, এবার অনেক কঠোরভাবে অভিযান চালানো হয়। ২০১৪ সালের অভিযানে জেলায় দণ্ডিত জেলের সংখ্যা ছিল ১২৪ জন। তবে এ বছর দণ্ডিত জেলের সংখ্যা ১৬৮ জন। জনগণ আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছেন। অভিযান চালাতে গিয়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় অভিযান কঠোর হওয়ায় এর সফলতাও আগের চেয়ে বেশী।এমএএস/এমএস
Advertisement