ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের ২২ মাসেও শেষ হচ্ছে না বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রথম ‘স্বাধীনতা স্মারক’ ভাস্কর্যের কাজ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পূর্ব পার্শে পার্কের মোড় সংলগ্ন স্থানে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্মাণকাজ শুরু হলেও দীর্ঘদিন ধরে অর্থ অভাবে বন্ধ রয়েছে এর কাজ। ফলে বিকশিত হচ্ছে না এই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার প্রকৃত সৌন্দর্য। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বরে ‘স্বাধীনতা স্বারক’ ভাস্কর্যটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী। ভাস্কর্যটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। জনতা ব্যাংকের অনুদানের ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে কাজ শুরু হলেও অর্থ অভাবে অসম্পূর্ণ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উল্লেখ্যযোগ্য স্থাপনার কাজ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূর-উন-নবী জাগো নিউজকে বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় গত ১৩ জানুয়ারি ভাস্কর্যের জন্য ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা অনুমোদিত হয়েছে। যার টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান।স্মারকটির নকশা থেকে জানা যায়, ১১ হাজার ৬৯৬ বর্গ ফুট আয়তনের বেদীর উপরে তিনটি ফ্রিঞ্জ (স্তম্ভ) দ্বারা তৈরি হবে। এর মধ্যে বড় ফ্রেঞ্জটির উচ্চতা হবে ৫৫ ফুট, দ্বিতীয়টির উচ্চতা হবে ৩৫ ফুট এবং তৃতীয়টির উচ্চতা হবে ২৫ ফুট। এই গুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছে বুঝানো হয়েছে। ফ্রিঞ্জ গুলোকে একত্রিত করার জন্য ২০ ফুট উচ্চতায় একটি শুরম্ন ছাঁদ হবে। এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধ করেছে তা বুঝানো হয়েছে। পাথর দ্বারা নির্মিত ফ্রেঞ্জগুলোর গায়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংবলিত কারুকার্য থাকবে এবং ফ্রিঞ্জের ঠিক পিছনে ঢালু অংশে বিভিন্ন মুরাল থাকবে। ভাস্কর্যটি সামকগ্রিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিশালতা বোঝাবে। বিশিষ্ট স্থপতি মুনাওয়ার হাবীব তুহিন এর নকশায় ‘স্বাধীনতা স্বারক’ নামের এই ভাস্কর্যটি হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রথম ভাস্কর্য।বিশ্ববিদ্যালয়ের এই স্থাপনার কাজ শেষ হলে এই চত্বর মুক্ত সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক সারোয়ার বলেন, স্মারক ভাস্কর্যগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় বহন করে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাস্কর্যের কাজ দ্রুত শেষ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অর্থ সঙ্কটের কারণে ভাস্কর্যের কাজ সাময়িক বন্ধ ছিল। চলতি মাসে টেন্ডার হয়ে গেলে জানুয়ারি থেকে পুনরায় ভাস্কর্যের কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।এমএএস/এমএস
Advertisement