ভারতে আরও একজনের শরীরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯ জন। এর আগে, বুধবার একদিনেই নতুন ২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, হরিয়ানার গুরগাঁওয়ে পেটিএমের এক কর্মীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। এর পরপরই দু’দিনের জন্য পেটিএমের ওই অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিন ভাইজাগ বিমানবন্দরে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে আরও পাঁচজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই পরিবারটি মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সকালে বিমানবন্দরে নামার পর স্ক্রিনিংয়ে তাদের সন্দেহ হয়। তাদের শরীরে জ্বরের উপসর্গও ছিল। সঙ্গে সঙ্গেই তাদের এপি চেস্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া, বাহরাইন থেকে আসা আরও দু’জনকে একইভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এই পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
এদিকে, আগ্রায় বেড়াতে যাওয়া কয়েকজন পর্যটকসহ মোট ২৩ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখানকার অন্তত ৫০ জনের স্ক্রিনিং টেস্টের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার।
ভারতে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ইতালীয় নাগরিক, বাকিরা ভারতীয়। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, গত মাসে ইতালি থেকে একদল পর্যটক ভারত সফরে যায়। মঙ্গলবার তাদের মধ্যে একজনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। তার স্ত্রীর রিপোর্টও পজেটিভ এসেছিল। পরে সেগুলো আবার যাচাইয়ের জন্য পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে নমুনা পাঠানো হয়। বুধবার নিশ্চিত হয়, তিনিও করোনায় আক্রান্ত।
ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় ইতালির ওই পর্যটক দলের ২১ জনকে দিল্লির চাওলায় ইন্দো-তিব্বতিয়ান বর্ডার পুলিশের কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্পে রাখা হয়। তাদের মধ্যে ১৪ জনের নমুনার রিপোর্টে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। পাশাপাশি, তাদের সঙ্গ দেয়া ভারতীয় বাসচালকেরও শরীরেও করোনা ধরা পড়েছে। আরও দুই ভারতীয় (বাসের হেল্পার ও গাইড) কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
Advertisement
এর আগে দিল্লির যে ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, আগ্রায় তার ছয় আত্মীয়ের রিপোর্টও পজেটিভ এসেছে। এছাড়া, কেরালায় তিনজন ও হায়দরাবাদে একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনার প্রকোপ বাড়লেও এ নিয়ে জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ড. হর্ষ বর্ধন। রাজ্যসভায় তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরাসরি বিষয়টির তদারকি করছেন। আমিও প্রতিদিন পর্যালোচনা করছি। করোনা মোকাবিলায় মন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। তারাও গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন।’
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
কেএএ/পিআর