দেশজুড়ে

এস এম সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা আয়োজন

শিল্পী এস এম সুলতানের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী ১০ অক্টোবর। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নড়াইল পৌরসভার মাছিমদিয়া গ্রামে নিজ বাড়ির আঙিনায় তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।এ উপলক্ষে নড়াইল জেলা প্রশাসন, সুলতান ফাউন্ডেশন, এস এম সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শিল্পীর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো, সমাধি জিয়ারত, কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা।১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট মাছিমদিয়া গ্রামের এক দরিদ্র রাজমিস্ত্রির ঘরে জন্ম নেন সুলতান। তার ডাক নাম ছিল লাল মিয়া। জীবদ্দশাতেই কিংবদন্তী হয়ে উঠা সুলতান ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ছবি এঁকে সারা বিশ্বে রীতিমতো হইচই ফেলে দেন। একমাত্র তিনিই প্রথম এশিয়, যার আঁকা ছবি পাবলো পিকাসো, সালভাদর দালির মতো বিশ্ববিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের চিত্রকর্মের সঙ্গে প্রদর্শিত হয়েছে। মাত্র ২৫ বছর বয়সে তার এ ছবিগুলো প্রদর্শিত হয় লন্ডনের ভিক্টোরিয়া এমব্যাঙ্কমেন্ট ও লেইস্টার গ্যালারিতে।সুলতান তার চিত্রকর্মের জন্য অনেকগুলো জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১৯৮২ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ম্যান অব দ্যা ইয়ার, একই বছর একুশে পদক, ৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আর্টিস্ট ইন রেসিডেন্স, ৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক এবং ৯৯ সালে চারুকলা ইনস্টিটিউটের ৫০ বছর পূর্তিতে সম্মাননা (মরণোত্তর) পদক উল্লেযোগ্য।হাফিজুল নিলু/এমজেড/এমএস

Advertisement