করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। চীনে শুরু হওয়া এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৮৫ জনের প্রাণ কেড়েছে এ ভাইরাস। বিভিন্ন দেশে ৯৫ হাজার ৪৮১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
Advertisement
কথা বলা, হাঁচি, কাশির সময় ছড়ায় এ ভাইরাস। আক্রান্তের হাঁচি যদি হাতে এসে লাগে, তারপর সেই হাত যারই মুখ, নাক, চোখের সংস্পর্শে আসবে, তারই সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এমনকি করমর্দনের মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ায়।
এ ভাইরাস থেকে নিজেকে কীভাবে বাঁচাবেন?
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবার আগে মাথায় রাখতে হবে হাত ধোয়ার বিষয়টি। বেসিক পার্সোনাল হাইজিন মেনে চলতে হবে। এ ছাড়া যাদের ঠান্ডা লেগেছে, হাঁচি-কাশি হচ্ছে, তাদের থেকে দূরে থাকা, মাস্ক পরা এগুলো তো করতেই হবে।
Advertisement
হাত ধোয়া বনাম হ্যান্ড স্যানিটাইজার
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাত না ধুয়ে শুধু স্যানিটাইজার ব্যবহার করলেই হাত থেকে সব ভাইরাস ও ব্যাকটিরিয়া তাড়ানো যায় না। তাই যখন হাত ধোয়ার জন্য আপনার কাছে একেবারেই পানি নেই, শুধু তখনই স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। একইসঙ্গে, হাত সাবান দিয়ে ধুলেই যে আপনার হাতের সব জীবাণু উধাও হয়ে যাবে, তাও সঠিক নয়। তাহলে কী করবেন? ভাইরাস হাত থেকে দূর করতে হলে সঠিক উপায়ে হাত ধুতে হবে।
হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম
১. পরিষ্কার রানিং ওয়াটারে হাতটা প্রথমে ভিজিয়ে নিন। এবার কনুইয়ের সাহায্যে কলটা বন্ধ করুন। হাত দিয়ে কল বন্ধ করলে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়।
Advertisement
২. সাবানের সাহায্যে হাতে-আঙুলে ফ্যানা তৈরি করুন।
৩. খেয়াল রাখবেন, ফ্যানা যেন হাতের পেছন দিক, আঙুলের ফাঁক ও নখের নিচ পর্যন্ত পৌঁছায়।
৪. অন্তত ২০ সেকেন্ড দুটো হাত ঘষা জরুরি। এর ফলে হাতের ময়লা, ত্বকের মাইক্রোবগুলো উঠে যায়।
৫. কতক্ষণ ধরে হাত ধোবেন? এক কাজ করুন। হাত ধোয়ার সময় হ্যাপি বার্থ ডে গানটা দু বার গান। সেই সময় ধরেই হাত ধোবেন।
৬. হাত ঘষে ধোয়া শেষ হলে ফের পরিষ্কার রানিং ওয়াটারে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৭. শুধু নিজে ব্যবহার করেন, এমন পরিষ্কার টাওয়ালে হাতটা মুছে নিন বা এয়ার-ড্রাই করে নিন।
জেডএ/পিআর