প্রবাস

এবার নিজ দেশের নাগরিকদের ওমরাহ স্থগিত করল সৌদি

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এবার সকল প্রবাসী ও নিজ দেশের নাগরিকদের ওমরাহ পালনের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সৌদি আরব সরকার। একই সঙ্গে মসজিদে নববী পরিদর্শনও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

Advertisement

বুধবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়। খবর আল আরাবিয়া ও আরব নিউজের।

নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে গঠিত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দেশটিতে অভ্যন্তরীণ ওমরাহ কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত মক্কা মোকাররমা ও মদিনার সব প্রবেশ পথে কড়া পাহারা বসানো হবে।

নির্দেশনায় মসজিদ এলাকার বাসিন্দাদের জন্য কিছু বলা হয়নি।

Advertisement

গত সোমবার সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশটিতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত করে। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি ইরান থেকে বাহরাইন হয়ে সৌদিতে প্রবেশ করেন। তিনি ইরান ভ্রমণের বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করেন। করোনাভাইরাসে চীনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা ইরানে। সেখানে জুমার নামাজও বাতিল করা হয়।

পরে সতর্কতামূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার থেকে সব দেশের জন্য ওমরাহ ভিসা এবং ২২টি দেশের পর্যটন ভিসা সাময়িকভাবে স্থগিত করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে বিশেষ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসাপেক্ষে ইমপ্লয়মেন্ট (কর্মী) ভিসা, ওয়ার্ক ভিজিট ভিসা, বিজনেস ভিজিট ভিসা ও ফ্যামিলি (পরিবার) ভিজিট ভিসা প্রদানের ওপর শিথিলতা আরোপ করা হয়।

সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সৌদি আরবে করোনাভাইরাসের প্রবেশ এবং ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক এবং আগাম প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে যথাযথ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ওমরাহ ও ট্যুরিস্ট ভিসা সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।’

যাদের কাছে সৌদি পরিচয়পত্র আছে তারা ইচ্ছা করলে দেশে ফিরতে পারবেন এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর নাগরিকরাও সৌদি ছাড়তে পারবেন।

Advertisement

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪ হাজার ৭৮ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩ হাজার ২১৮ জন। আক্রান্ত ও নিহতদের অধিকাংশই চীনের। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। তখন থেকে সংক্রমিত হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫০ হাজার ৬৯২ জন।

এমএআর/বিএ/এমএস