দেশজুড়ে

বিজিবি-গ্রামবাসী সংঘর্ষে নিহতদের দাফন, গ্রামে শোকের ছায়া

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় নিজের বাগানের গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বিজিবি ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত একই পরিবারের তিনজনসহ চারজনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

Advertisement

বুধবার (০৪ মার্চ) দুই দফা জানাজা শেষে মো. মফিজ মিয়াকে বটতলী কবরস্থানে এবং সাহাব মিয়া ও তার দুই ছেলে আকবর আলী ও আহাম্মদ আলীকে ইসলামপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এর আগে সকাল সোয়া ৮টার দিকে চারজনের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স গাজিনগর পৌঁছলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তাদের মরদেহ বাড়ি পৌঁছার পর থেকে স্বজনদের কান্না যেন থামছিল না। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। এ সময় মরদেহ দেখতে শত শত মানুষ জড়ো হয় নিহতদের বাড়িতে।

প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে আলুটিলা বটতলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুপুর ১২টার দিকে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নিহত মো. মফিজ মিয়ার বড় ভাই জানাজায় ইমামতি করেন।

Advertisement

জানাজায় অংশ নেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মাটিরাঙ্গা সার্কেল) মো. খোরশেদ আলম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হুমায়ুন মোরশেদ খান, মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মো. শামসুদ্দিন ভুঁইয়া, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. আলাউদ্দিন লিটন ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এমরান হোসেন।

জানাজার আগে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশ, মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মো. শামসুদ্দিন ভুইয়া, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এমরান হোসেন এবং নিহত সাহাব মিয়ার ছোট ভাই মো. আবু বকর ছিদ্দিক।

এ সময় আবু বকর ছিদ্দিক বড় ভাই ও ভাতিজাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন। সেই সঙ্গে ভাই-ভাতিজা ও বেয়াই মফিজ মিয়ার কি অপরাধ তা জানতে চান তিনি।

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন, এক বিজিবি সদস্য ও এক গ্রামবাসী রয়েছেন। মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গাজিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

Advertisement

মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এএম/এমকেএইচ