রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর ক্যাম্পাসে উপস্থিতি বিষয়ক ‘হাজিরা খাতাটি’ চুরি হয়ে গেছে।
Advertisement
চোরদের ধরার জন্য বুধবার বিকেল ৩টায় রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ এবং তাজহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে শিক্ষকদের সংগঠন ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর ‘হাজিরা খাতা’ শিরোনামে ক্যাম্পাসে একটি সাদা বোর্ড টানানো হয়েছিল। সেখানে উপাচার্যের দৈনিক উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির হালনাগাদ করা হচ্ছিল।
এর আগে অধিকার সুরক্ষা পরিষদ গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সংবাদ সম্মেলন করে উপাচার্যের প্রায় অর্ধশত অনিয়ম-দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার খতিয়ান প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলন করে সেদিনই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছিলেন উপাচার্য ক্যাম্পাসে এলেই তাকে স্মারকলিপি দেয়া হবে। কিন্তু তাকে ক্যাম্পাসে না পেয়ে শিক্ষকরা তার হাজিরা খাতা টানিয়ে দিয়েছেন।
Advertisement
এ বিষয়ে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান বলেন, এর আগেও প্রশাসন আমাদের টানানো স্মারকলিপি খুলেছিল। আমার মনে করি এবারও প্রশাসনের পক্ষেই এ কাজ করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।
শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, অভিনব এবং শৈল্পিক আন্দোলনে যারা অগণতান্ত্রিক এবং গোপনে চৌর্যবৃত্তির আশ্রয়ে এসব কাজ করছেন তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ আপনারা আগামীতে এ কাজ করবেন না। যেই বোর্ড এবং ব্যানার খুলে ফেলেছেন তা পুনরায় টানানোর ব্যবস্থা করুন।
উপাচার্যের হাজিরা খাতাটি চুরির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের নেতৃবৃন্দ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের সদস্য সচিব খাইরুল কবির সুমন।
খাইরুল কবির সুমন বলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আমরা এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করব এবং নতুন করে হাজিরা খাতা স্থাপন করব।
Advertisement
এএম/এমএস