জাতীয়

‘মেয়েদের ক্যাডেট কলেজ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই’

মেয়েদের জন্য ক্যাডেট কলেজ সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা আপাতত সকারের নেই বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া আরও একটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তবে দেশে বিদ্যমান ক্যাডেট কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম চলমান।

Advertisement

বুধবার (৪ মার্চ) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির অষ্টম বৈঠকে এ তথ্য জানায় মন্ত্রণালয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. নুরুন্নাহার চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্যাডেট কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে ফেনী ও জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের বর্তমান ক্যাডেট সংখ্যা তিনশ থেকে সাড়ে চারশতে উন্নীত করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে অন্যান্য ক্যাডেট কলেজের আসন সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে।

এর আগে কমিটির বৈঠকে মেয়েদের ক্যাডেট কলেজের সংখ্যা বাড়ানোসহ শিক্ষার্থী ভর্তির কোটা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। এ সুপারিশের ভিত্তিতে প্রতিবেদন উত্থাপন করে মন্ত্রণালয়।

Advertisement

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, নারী জাগরণের যুগে তাদের আরও সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। পিছিয়ে পড়া নারীরা যাতে এগিয়ে আসতে পারে সেজন্য তাদের শিক্ষা গ্রহণে বেশি সুযোগ দিতে হবে। এজন্য মেয়েদের ক্যাডেট কলেজ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল কমিটি। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে সেটি নাকচ করা হয়েছে। আমরা আশা করি এ বিষয়ে আরও চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

জানা যায়, সপ্তম বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এ সময় স্থায়ী কমিটির সুপারিশের আলোকে আরও একটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জানানো হয়।

জবাবে মন্ত্রণালয় জানায়, সিএমএইচ এবং আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অনেক জনবল ও আর্থিক সংশ্লেষ থাকায় এগুলো বাস্তবায়ন করা আপাতত সম্ভব নয়। তবে সিএমএইচের অবকাঠামোগত ও অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করার পাশাপাশি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকা মেডিকেলের অনুরূপ সুযোগ সুবিধার বাড়িয়ে এ প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা যেতে পারে। কমিটি এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে এবং প্রতিষ্ঠান দুটির অবকাঠামোগত ও অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করে সেবার মান বাড়ানোর সুপারিশ করে।

বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা পেনশনরত অবস্থায় কী কী সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে এটি বাড়ানোর জন্য কী পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

Advertisement

এ সময় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের জন্য রেশন ভাতার পরিবর্তে রেশন চালুর এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে ওআরওপি সার্ভিস প্রবর্তনের সুপারিশ করা হয়। অর্থাৎ একই পদবীতে একই পেনশনযোগ্য চাকরির ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অবসর গ্রহণের প্রেক্ষিতে প্রাপ্য পেনশনে সমতাকরণের সুপারিশ করা হয়৷

বৈঠকে কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, নাসির উদ্দিন, মহিববুর রহমান এবং নাহিদ ইজাহার খান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মহসিন চৌধুরী, সেনাবাহিনীর সদর দফতরের লে. জেনারেল মো. সফিকুর রহমান, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/এএইচ/এমকেএইচ