প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সীমান্তে নতুন কড়াকড়ি আরোপ করেছে সৌদি আরব। উপসাগরীয় সহযোগী সংস্থাভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোর নাগরিকরা ভাইরাস আক্রান্ত যেকোনও দেশ ভ্রমণের পর অন্তত ১৪ দিন সৌদিতে ঢুকতে পারবেন না। এ সময়সীমা শেষে শরীরে করোনা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা না গেলে তবেই অনুমতি দেবে সৌদি প্রশাসন।
Advertisement
এছাড়া, সৌদি নাগরিকদের দেশে ফেরার সময় ১৪ দিনের মধ্যে জিসিসি’র বাইরে কোনও দেশ ভ্রমণ করলে সেই তথ্য কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। সড়কপথে দেশে প্রবেশকারী সবারই স্ক্রিনিং করা হবে।
গত সোমবার সৌদি আরবে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। তিনি ইরান থেকে বাহরাইন হয়ে কিছুদিন আগেই সৌদি ফিরেছিলেন।
মঙ্গলবার সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ওই রোগীর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এছাড়া, তার সংস্পর্শে আসা আরও ৭০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
Advertisement
এছাড়া, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ওমরাহ যাত্রী ও মসজিদে নববী ভ্রমণকারীদের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে দেশটি। গত বৃহস্পতিবার সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ পর্যন্ত আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইরানে। দেশটিতে অন্তত ৭৭ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৩৬ জন।
এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২১, কুয়েতে ৫৬, বাহরাইনে ৪৭, লেবাননে ১২, ওমানে ১৩, ইসরায়েলে ১০, কাতারে সাত, জর্ডানে একজনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো ধরা পড়ার পর ইতোমধ্যে অন্তত ৭৬টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এর মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ভাইরাসটির উৎসস্থল চীনে। দেশটির মূল ভূখণ্ডে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৯৮১ জন মারা গেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৮০ হাজার ২৭০ জন।
চীনের বাইরে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায়। সেখানে অন্তত ৫ হাজার ৩২৮ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস পাওয়া গেছে, মারা গেছেন ৩২ জন। চীনের পর সর্বোচ্চ মৃত্যু ইতালিতে। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় ৭৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আক্রান্ত ২ হাজার ২৬৩ জন।
Advertisement
বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ হাজার ৭৯৬ জন, আর মারা গেছেন অন্তত ৩ হাজার ২০১ জন।
সূত্র: আরব নিউজ, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
কেএএ/জেআইএম