করোনা আতঙ্কে এরই মধ্যে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের সরকার। ইরান ভ্রমণ শেষে প্রায় তিন শতাধিক পর্যটক দেশে ফেরার পর থেকেই আলোচিত করোনাভাইরাসের ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে সিন্ধ তথা করাচির সরকার। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে করাচির প্রায় সব স্কুল আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Advertisement
অথচ এই করাচিতেই আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এক ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও টেস্ট সিরিজের বাকি ম্যাচটি খেলতে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। আগের দুই দফায় লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে খেললেও, তৃতীয়বার দুই ম্যাচই খেলতে হবে করাচিতে; কিন্তু সেখানে আবার ভর করেছে করোনা আতঙ্ক।
বাংলাদেশেও করোনার ব্যাপারে সতর্কতাস্বরূপ আগামী কিছুদিনের জন্য একে অপরের সঙ্গে করমর্দন এবং কোলাকুলি করতে নিষেধ করা হয়েছে। সেখানে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়ার শঙ্কায় থাকা পাকিস্তানে বাংলাদেশ দলের সফর কতটা যুক্তিযুক্ত? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে।
এ নিয়ে বিসিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কিছু জানানো হয়নি এখনও। তবে মঙ্গলবার রাতে এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, তৃতীয় দফায় পাকিস্তান সফরের করোনার বিষয়টিও ভেবে দেখবে বিসিবি।
Advertisement
জালাল বলেন, ‘আমাদের কাছে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা সবার আগে। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের সমঝোতায় যেতে রাজি নই।’
এ কারণেই তৃতীয় দফায় পাকিস্তান সফরের আগে সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে বিসিবি আলোচনায় বসবে বলেও জানিয়েছেন মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান। যদি করোনার হুমকি বেড়ে যায়, তাহলে এবার আর পাকিস্তান সফরে যাবে না বাংলাদেশ- এমনটাই বলেছেন জালাল।
তার ভাষ্যে, ‘আমরা এ বিষয়টিকে নিয়ে অবশ্যই পিসিবির সঙ্গে কথা বলবো। যদি দেখি আমাদের দলের জন্য ন্যুনতম হুমকিও রয়েছে, তাহলে এবার তাদেরকে পাকিস্তানে পাঠাবো না। তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য এখনই তাড়াহুড়ার কিছু নেই। আমাদের হাতে অনেক সময় রয়েছে।’
উল্লেখ্য, এবারের পাকিস্তান সফরের জন্য আগামী ১ এপ্রিল দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। পরে ৩ এপ্রিল একমাত্র ওয়ানডে এবং ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ।
Advertisement
এসএএস/আইএইচএস/জেআইএম