জাতীয়

পাপিয়া সম্পর্কিত ‘মনগড়া’ তথ্য প্রচার, যা বলছে ডিএমপি

অস্ত্র, মাদক ও জাল টাকার পৃথক তিনটি মামলায় গ্রেফতার নরসিংদীর জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া বর্তমানে ১৫ দিনের রিমান্ডে। একই সঙ্গে তার স্বামী মফিজুর রহমানসহ গ্রেফতার অন্যরাও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের হেফাজতে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Advertisement

রিমান্ডে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি কিছু কিছু গণমাধ্যমে তদন্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য প্রচার ও প্রকাশ হচ্ছে, যা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিষয়টি ডিএমপির নজরে এসেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স থেকে সকলকে পেশাদারি ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রদর্শনের অনুরোধ জানিয়েছে। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘তিন মামলায় অভিযুক্ত পাপিয়াসহ অন্যদের ডিবি হেফাজতে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যসমূহ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিচার্য বিষয়সমূহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাক্ষীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

‘সমগ্র বিষয় এখনও তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রদান করা হয়নি। কিন্তু উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি কিছু কিছু গণমাধ্যমে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সাথে কোনো রকম আলাপ-আলোচনা না করে তদন্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করছে। তদন্তে প্রাপ্ত কথিত তথ্য হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তির নাম ও পরিচয় প্রকাশ এবং প্রচার করছে। যার সাথে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ততা নেই কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে কোনো সামঞ্জস্য নেই।’

ওই নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে রিমান্ডে থাকা অভিযুক্তদের সম্পর্কে মনগড়া তথ্য প্রচারের ফলে তদন্তকারী কর্মকর্তার ওপর মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক চাপ তৈরি হয়। ফলে বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত ব্যাহত ও বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

Advertisement

এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সংশ্লিষ্ট সকলকে পেশাদারি ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রদর্শনের জন্য অনুরোধ করছে।’

ডিএমপির বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা মামলা নং-২০, শেরেবাংলা থানার মামলা নং- ২৬ এবং একই থানায় দায়ের করা মামলা নং-২৭ এর পরিপ্রেক্ষিতে শামীমা নূর পাপিয়া, তার স্বামী সুমন, সহযোগী সাব্বির খন্দকার ও তাইবা নূরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি।

অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অনৈতিক কর্মকাণ্ড, জাল নোট সরবরাহ, রাজস্ব ফাঁকি, অর্থ পাচারসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের গ্রেফতার করে র্যাব। র্যাব বলছে, গত ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে পাপিয়া-সুমন দম্পতি পাঁচ তারকা হোটেলের কয়েকটি বিলাসবহুল কক্ষে অবস্থান করেন। এজন্য তারা পরিশোধ করেন ৮১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। র‌্যাবের দাবি, এ অর্থের উৎস সম্পর্কে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি এ দম্পতি।

এমএআর/এমএস

Advertisement