দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনও এমন হয়নি যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান বাতিল করতে হবে।
Advertisement
মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
১৭ মার্চ মুজিববর্ষ অনুষ্ঠান বাতিল হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ অনুষ্ঠান বাতিলের এখতিয়ার তো আমাদের হাতে না। আমরা এ বিষয়ে এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলতে পারব না। আমাদের দেশে তো এ ধরনের সংক্রমণ হয়নি যে অনুষ্ঠান বাতিল করতে হবে। এ ব্যাপারে যারা সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন তারা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত দেবেন।
স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে সিলেকটেড হাই প্রোফাইল গেস্টরা আসবেন। তারা নিশ্চয়ই খুবই সচেতন। বিমানবন্দরে ভিআইপি গেটে তারা থার্মাল স্ক্যানার মেশিনে স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং করেই আসবেন। সরকারও তাদের ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন।
Advertisement
এ সময় স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভারতে বেশ আগেই করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এরপরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারত সফর করেছেন। আপনারা জানেন, এ অনুষ্ঠান মুজিববর্ষ উপলক্ষে। এ অনুষ্ঠান আবার আসতে ১০০ বছর লাগবে। এ অনুষ্ঠান অব্শ্যই পালন করা উচিত। তবে এ আয়োজনের সঙ্গে যারা আছেন তাদের অবশ্যই অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করে অনুষ্ঠান পালন করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো কারণবশত করোনা রোগী পাওয়া গেলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু থাকবে না। দেশের সব জেলায় সিভিল সার্জনদের মাধ্যমে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আলাদা আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। করোনা শনাক্তকরণের জন্য পর্যাপ্ত কিটস রাখা আছে। এর পাশাপাশি দেশের প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ১০ সদস্যবিশিষ্ট আলাদা দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমনকি আমার (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) সভাপতিত্বে ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব অন্যান্য সিনিয়র সচিবসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এডিবি, ইউনিসেফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইউএসএইড এর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্বের অন্য আক্রান্ত দেশগুলো করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শুরুতে যা যা অবহেলা করেছিল আমরা তা করিনি। সবদিক দিয়েই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সুতরাং দেশে কোনো কারণে করোনাভাইরাস চলে এলেও তা বড় কোন ক্ষতি করতে পারবে না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালকসহ বিভিন্ন দফতরের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এমইউ/জেএইচ/পিআর
Advertisement