দেশে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত কেউ আক্রান্ত না হলেও এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে ঝুঁকি মোকাবিলা ও কেউ আক্রান্ত হলে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত সরকার। সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার্থে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) বেডসহ পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করে রাখা হচ্ছে।
Advertisement
করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলে তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক ও নার্সদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে একটি জাতীয় কমিটিসহ দেশব্যাপী তিনটি কমিটি বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সুতরাং দেশে করোনাভাইরাস দেখা দিলেও জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিশ্বের ৬০টি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীই পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রবেশপথ দিয়ে (আকাশপথ, স্থল ও সমুদ্রবন্দর) চার লক্ষাধিক দেশে বিদেশি নাগরিকের হেলথ স্ক্রিনিং করা হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনা সন্দেহে শতাধিক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে লালার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কারও দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলেও ভয়ের কিছু নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
Advertisement
জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশি যারা বিদেশে চাকরি করেন, নেহাত জরুরি না হলে এখন দেশে আসা এড়াতে হবে। কারণ আমরা চাই না আমাদের দেশ আক্রান্ত হোক। নিশ্চয়ই প্রবাসী বাংলাদেশিরাও চান না তাদের মাধ্যমে দেশের মানুষ কিংবা পরিবারের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হোন। দেশ ও পরিবারের স্বার্থেই এখন বিদেশে গমনাগমন বন্ধ রাখতে হবে।
এমইউ/জেএইচ/এমএস