প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারির শঙ্কায় বিশ্বে ২৬টি ওষুধের উপাদান এবং ওষুধ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। বিশ্বে ওষুধ ও ওষুধের উপাদানের অন্যতম সরবরাহকারী ভারত মঙ্গলবার এ ঘোষণা দিয়েছে।
Advertisement
রফতানির এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামলও। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো তাদের সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদানের (এপিআই) ৭০ শতাংশই আমদানি করে প্রতিবেশি চীন থেকে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ইতোমধ্যে চীনা সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল ব্যবসা ব্যাহত করেছে। শিল্প-প্রতিষ্ঠানের জড়িত কর্মকর্তারা বলেছেন, মহামারি শুরু হলে ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো চীনা সরবরাহের ঘাটতির মুখোমুখি হতে পারেন।
মঙ্গলবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক দফতরের মহাপরিচালক ওষুধ ও ওষুধের উপাদানের রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাখ্যা না দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, কিছু সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান এবং এসব উপাদান থেকে তৈরিকৃত ওষুধ...তাৎক্ষণিকভাবে রফতানি নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
Advertisement
রফতানি নিষিদ্ধ ২৬টি ওষুধের উপাদান এবং ওষুধের যে তালিকা সরকার প্রকাশ করেছে; তা দেশটির মোট রফতানির প্রায় ১০ শতাংশ।
ভারতের ফার্মাসিউটিক্যালস এক্সপোট প্রোমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান দিনেশ দুয়া বলেছেন, আগামী কয়েক মাস এসব ওষুধের উপাদানের সঙ্কট দেখা দিতে পারে; যে কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে এই প্রোমোশন কাউন্সিল।
দুয়া বলেন, যদি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে, তাহলে ওষুধের তীব্র সঙ্কট তৈরি হতে পারে। এদিকে, মঙ্গলবার দেশটির সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে ছয়জনের শরীরে 'হাই-ভাইরাল লোড' শনাক্ত হয়েছে। তারা সম্প্রতি রাজধানীতে করোনাক্রান্ত এক ব্যক্তির সান্নিধ্যে এসেছিলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ছয়জন আইসোলেশনে রয়েছেন এবং তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
এর আগে, সোমবার ভারতে নতুন করে আরও তিনজনের শরীরে করোনার উপস্থিতি নিশ্চিত হয় কর্তৃপক্ষ। ফলে দেশটিতে করোনায় মোট আক্রন্তের সংখ্যা ছয়জনে পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে একজন ইতালির নাগরিক; যিনি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাজস্থানে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। নয়াদিল্লিতে করোনাক্রান্তরা গভীর পর্যবেক্ষণে আছেন এবং তাদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে জানিয়েছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা।
এসআইএস/এমকেএইচ