অর্থনীতি

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ব্যয় বাড়ল ৭ হাজার ৪৬ কোটি টাকা

যমুনা নদীর ওপর ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পে ব্যয় বেড়েছে সাত হাজার ৪৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ফলে এ প্রকল্পের ব্যয় নয় হাজার ৭৩৪ কোটি সাত লাখ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। মঙ্গলবার অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা থেকে ব্যয় বৃদ্ধির এ চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

Advertisement

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।

২০১৬ সালে প্রকল্পটি যখন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়, তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল নয় হাজার ৭৩৪ কোটি সাত লাখ টাকা। তখন জাইকার ঋণ ছিল সাত হাজার ৭২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। নানা কারণে প্রকল্পের মোট ব্যয় বেড়ে এখন দাঁড়াচ্ছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা।

একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

Advertisement

ব্যয় বাড়ার বিষয়ে বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, জাইকা নতুন করে প্রকল্প পর্যালোচনা করে দেখেছে যে, ব্যয় বাড়বে। এ কারণেই প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে। বাড়তি ব্যয়ের চার হাজার ৪২৮ কোটি টাকা ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)।

এর আগে ৯ জানুয়ারি সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পে তিন হাজার ২১৫ কোটি ৯৯ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬৭ টাকা শর্তসাপেক্ষে বাড়ানোর অনুমোদন দেয়া হয়। ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সে সময় অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কাজের পরিমাণ বেড়েছে।’ তবে কী ধরনের কাজ বেড়েছে সেটা তিনি বলেননি। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এটা একনেকে আলোচনা হওয়াই ভালো। ব্যয় বৃদ্ধির পুরো অর্থ জাইকা দেবে।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যমুনায় নতুন রেল সেতু নির্মাণ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। মহাসড়কের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চার লেনের সেতুটি হবে ডুয়েলগেজ। এতে ওয়াগন ও কনটেইনার বাল্ক অধিক পরিমাণে বহন করা যাবে। সেতুর বঙ্গবন্ধু সেতু ইস্ট (বিবিই) এবং বঙ্গবন্ধু সেতু ওয়েস্টে (বিবিডব্লিউ) স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার বেজড ইন্টারলিংকিং (সিবিআই) সিগনালিং সিস্টেম থাকবে। সেতু বরাবর গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপলাইনও থাকবে।

এমইউএইচ/এমএআর/এমএস

Advertisement