জাতীয়

পোল্ট্রিকে করমুক্ত খাত ঘোষণার দাবি

স্বল্পমূল্যে ডিমের উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে পোল্ট্রিকে করমুক্ত খাত হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খামারি ও ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০তম বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খামারি ও ব্যবসায়ীরা এ দাবি জানান।পোল্ট্রি শিল্পের সঙ্গে জড়িত ৭টি অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটি (বিপিআইসিসি) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটির (বিপিআইসিসি) আহ্বায়ক মসিউর রহমান বলেন, চলতি অর্থবছরে পোল্ট্রি শিল্পের উপর আমদানি শুল্ক ও অগ্রীম আয়কর আরোপ করার ফলে পোল্ট্রি ফিড, বাচ্চা, ডিম ও মুরগির মাংসের উৎপাদন খরচ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পোল্ট্রিকে করমুক্ত খাত হিসেবে ঘোষণার বিকল্প নেই।দেশে ডিমের মোট চাহিদার প্রায় ৯৫ শতাংশ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয় জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ডিমের দৈনিক উৎপাদন প্রায় ২ কোটি। ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ডিমের দৈনিক চাহিদা হবে প্রায় ৪০-৪৫ কোটি। এ বিশাল চাহিদা পূরণে পোল্ট্র্রি শিল্পের উন্নয়নে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত সহযোগিতা দরকার।মসিউর বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক জনসচেতনতা এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে ডিমের চাহিদা অনেক বেড়েছে। কিন্তু ডিম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার কারণে এবং সঠিক প্রচার ও পরিকল্পনার অভাবে ডিমের কাঙ্খিত চাহিদা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি প্যাথলজির প্রফেসর ড. এ এস মাহফুজুল বারী।তিনি বলেন, ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং নিরাপদ একটি খাদ্য। মাত্র ২টি ডিম নারীর দৈনিক প্রোটিন চাহিদার ১/৪ ভাগ পূরণ করতে পারে। শুধু তাই নয়, শর্করা কমিয়ে প্রতিদিন ডিম খেলে মাসে ৩ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব।সমাজে ডিম সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকেই মনে করেন ডিম খেলে কোলস্টেরল বাড়ে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। এমন ধারণা একেবারেই অমূলক। ডিমে কোলস্টেরল আছে তবে তা ক্ষতিকর নয় বরং উপকারি। আধুনিক বিজ্ঞান বলছে সপ্তাহে ৪টি ডিম খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৩৭ শতাংশ কমে যায়। সপ্তাহে ৬টি ডিম খেলে স্তন ক্যানসারের সম্ভবনা ৪০% হ্রাস পায়।এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদফরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায়, বিপিআইসিসি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক সামছুল আরেফিন খালেদ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং হেড অব মেডিসিন প্রফেসর ডা. মো. বিল্লাল আলম, অধ্যাপক ড. মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।এএস/এআরএস/পিআর

Advertisement