প্রথম ম্যাচে করেছিলেন দুর্দান্ত একটি সেঞ্চুরি। ১০৫ বল খেলে ১২৬ রান করে ইনজুরির শিকার হয়ে মাঠ ছেড়ে যান তিনি। সে ধারাবাহিকতা শুরু করার সুযোগই পেলেন না তিনি। তার আগেই দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হয়ে গেলেন তিনি।
Advertisement
টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর যথারীতি ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস। ৬.৩ ওভারেই তারা ৩৮ রানের জুটি গড়ে ফেলেন।
সপ্তম ওভারে চার্ল মুম্বার বলের সামনে ব্যাট করছিলেন তামিম ইকবাল। অন্যপ্রান্তে ব্যাট করছিলেন লিটন দাস। নিজের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে শুরু করেন তামিম। লিটন কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলছিলেন।
ওভারের তৃতীয় বলটি তামিমের ব্যাটে লেগে চলে আসে বোলারের হাতে। রান নেয়ার জন্য এ সময় ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন লিটন দাস। বল বোলার মুম্বার হাতে লেগে চলে যায় নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্ট্যাম্পে। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় লিটন ক্রিজে পৌঁছার আগেই বল গিয়ে আঘাত হাতে স্ট্যাম্পে। যার ফলে আউট। ১৪ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে গেলেন আগের ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা লিটন দাস।
Advertisement
দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হলেন নাজমুল হোসেন শান্তও। এ ক্ষেত্রে অবশ্য দোষ তামিম ইকবালের। ১১তম ওভারে ওয়েসলি মাধভেরে বল করেন নাজমুল হোসেন শান্তকে। তার প্যাডে লেগে বল চলে শর্ট ফাইন লেগে। অন্য প্রান্ত থেকে রান নেয়ার জন্য দৌড় দেন তামিম। ফিল্ডারের হাতে বল থাকা সত্ত্বেও স্ট্রাকিং এন্ডের ক্রিজে পৌঁছে যান তিনি। শান্ত রান নিতে না চাইলেও ক্রিজের বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকেন। যার ফলে রান আউট হয়ে যান তিনিই।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে পড়ে গেলো বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেট। স্কোরবোর্ডে রান তখন ৬৫। নাজমুল হোসেন শান্ত ১০ বল খেলে করেন মাত্র ৬ রান। এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৫। ৫৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহীম রয়েছেন ৩ রানে।
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement