করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছেই। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বিশ্বের ৭৬টি দেশ ও অঞ্চলে ৯০ হাজার ৯২৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে ৪৮ হাজার মানুষ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
Advertisement
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর তা চীনের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে বিশ্বের নানা প্রান্তে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি সামনে আসতে থাকে। প্রথমদিকে চীনেই এই ভাইরাসের প্রকোপ ছিল সবচেয়ে বেশি।
তবে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, বর্তমানে চীনের বাইরে বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। ফলে এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে এমন দেশগুলো তাদের বিমানবন্দরগুলোতে পর্যটকদের জন্য স্ক্রিনিং বাড়িয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চীনে যতজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তার চেয়ে আটগুণ বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে চীনের বাইরে বিভিন্ন দেশে।
Advertisement
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সর্বোচ্চ মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে। জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ইরান এবং জাপানের পরিস্থিতি এখন সবচেয়ে উদ্বেগজনক। তবে দক্ষিণ কোরিয়া নিবিড় নজরদারি চালু করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়াতেই করোনাভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। সেখানে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮১২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ২৯ জন।
করোনাভাইরাসে শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ১৫১ এবং মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৯৪৩ জনের। অপরদিকে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে। সেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩৬। এদিকে, লাটভিয়া, সৌদি আরব, সেনেগাল এবং মরক্কোতে প্রথমবারের মতো করোনায় আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করা গেছে।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement