প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে বলতে গেলে হেসে-খেলেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। লিটন দাসের অসাধারণ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৩২১ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলার পর বোলারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ের মুখে ৩৯.১ ওভারে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ফলে বাংলাদেশ পেয়ে যায় ১৬৯ রানের বিশাল জয়। যা, নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডও বটে।
Advertisement
তিন ম্যাচের সিরিজের আজ দ্বিতীয় ম্যাচ। সিলেটের লাক্কাতুরা চা বাগান সংলগ্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর ১টায় শুরু হবে দিবা-রাত্রির এই ম্যাচটি। আজ জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। সে ক্ষেত্রে প্রায় ১৬ মাস পর কোনো দ্বি-পাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জিতবে টাইগাররা।
যদিও ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জেতা সেই সিরিজের পর বাংলাদেশ ওয়ানডেই খেলেছে খুব কম। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে ২০১৯ সালের শুরুতে। এরপর খেলেছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় জিতেছিল মাশরাফির দল।
বিশ্বকাপের পরপরই গত বছর জুলাই মাসে শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে গিয়ে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে রীতিমত নাকানি-চুবানি খেয়ে এসেছে বাংলাদেশ। এরপর তো গত সাত মাসে কোনো ওয়ানডে সিরিজই খেলা হয়নি টাইগারদের। এবার জিম্বাবুয়েকে ডেকে এনে অবশেষে সিরিজ জয়ের আক্ষেপ ঘোচানোর একটা সুযোগ পেয়েছে টিম বাংলাদেশ।
Advertisement
যদিও ম্যাচ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা সম্ভব নয়। কারণ, ক্রিকেট হচ্ছে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। যে কোনো সময় যে কোনো পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে।
যদিও জিম্বাবুয়ে তুলনামূলক দুর্বল দল। প্রথম ম্যাচেই সেটা প্রমাণিত হয়ে গেছে। এ কারণে, বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা আশাবাদী আজই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলার।
তবে আজ পরীক্ষা তামিম ইকবালের জন্য। দীর্ঘদিনের অফ ফর্ম কি তিনি কাটাতে পারবেন আজ? এটা বড় একটা প্রশ্ন। তার সঙ্গে আরেকটা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে মুশফিকুর রহীমকে নিয়ে। তিনি কি আজ খেলবেন? কারণ, পাকিস্তান যাওয়ার শর্ত দিয়ে তাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে- রাজি না হলে এই ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ দেয়া হবে। শেষ পর্যন্ত কি দাঁড়ায় পরিস্থিতি তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement