দেশের অভ্যন্তরে সম্ভাব্য করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়। রোববার (১ মার্চ) এ কমিটি গঠন করা হয়।
Advertisement
এর পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে সোমবার (২ মার্চ) চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কারণ মাঠ প্রশাসন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনে রয়েছে।
জেলা পর্যায়ে ১১ সদস্যের কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক (ডিসি)। অপরদিকে, উপজেলা পর্যায়ে ১০ সদস্যের কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা কমিটিতে এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন।
Advertisement
জেলা কমিটি করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে। উপজেলা কমিটি জেলা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় রেখে জাতীয় কমিটির নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে।
জেলা ও উপজেলা কমিটি করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইনসহ প্রয়োজনীয় আর্থিক ও লজিস্টিক সহায়তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
একই সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ জাতীয় কমিটির পরামর্শ গ্রহণ করবে জেলা-উপজেলা কমিটি।
জেলা কমিটিতে পুলিশ সুপার, মেডিকেল কলেজ/সদর হাসপাতালের পরিচালক বা তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা তথ্য কর্মকর্তা, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক সদস্য হিসেবে রয়েছেন। সিভিল সার্জন জেলা কমিটিতে সদস্য সচিব থাকবেন।
Advertisement
উপজেলা কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়র, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর এটি চীনের বেশ কিছু শহরে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৫ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
আরএমএম/এফআর/এমকেএইচ