বাজারে মুরগির দাম কমলেও কমছে না সবজির দাম। এখনো প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২শ’ থেকে আড়াইশ টাকায়। আলু, বেগুন, টমাটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ঢেড়শ, করলা, বরবটি, কুমড়া, চিচিঙ্গাসহ কোনো সবজির দাম কমেনি। সরবরাহ ঠিক থাকা সত্ত্বেও কি কারণে সবজির বাজারের আগুন নিভছে না, বলতে পারছেন না বাজার সংশ্লিষ্টরা কেউ। তবে শীতের শুরুতে সবজির বাজারের এ চড়াভাব কমতে শুরু করবে এমনটি আশা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।শুক্রবার রাজধানীর বেশ ক’টি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এখনো ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১শ` ত্রিশ থেকে ১শ` পয়ত্রিশ টাকায়। আর এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ২শ` থেকে আড়াইশ টাকা হওয়ায় অনেকেই কাঁচা মরিচের বিকল্প শুকনা মরিচ বা গুড়া মরিচের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।কাফরুলের বাসিন্দা এনজিও কর্মী আলী হোসেন। শুক্রবার সকাল ১০টায় এসেছেন কঁচুখেত বাজারে। তিনি বলেন, বাজার এখন কার দখলে বলতে পারবো না, তবে আমরা যে জিম্মি হয়ে গেছি এটা বুজতে পারছি। তা না-হলে সরবরাহ ঠিক থাকার পরও ৪০ টাকার কাঁচা মরিচ আড়াইশ টাকা বিক্রি হয় কিভাবে।রাজধানীর বাজারগুলোতে কেবল কাঁচা মরিচই নয় দুই মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ সব পণ্যের দাম বেড়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কাজিপাড়া, শেওড়াপাড়া, কঁচুখেত, মহাখালী, গুলশান, বাড্ডাসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচাবাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। শীতের আগে কাঁচাবাজার নিম্নমুখী হওয়ার কথা থাকলেও তার কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। শিমের দাম ৮০ টাকা। বেগুন ৮০-১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা, শালগম ৬০-৭০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ১০০-১২০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, মুলা ৪০-৫০ টাকা, শশা ৬০-৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা, ঢেঁড়শ ৯০-১০০ টাকা। এছাড়া কঁচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, প্রতি আঁটি লাউ শাক ৩০ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক ২৫ টাকা, পালং শাক ৩০ টাকা, পুঁই শাক ২৫ টাকা ও ডাটা শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রোকলি প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪শ` থেকে ৪শ` ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খাসি ৫৫০-৬০০ টাকা, কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-২৫০, সিলভার কার্প ১২০-১৫০ টাকা, আইর মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৫০০-১১০০ টাকা, পুঁটি ১৮০-২০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, মলা ২২০-৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৩৫০-৫০০ টাকা, শিং ৫০০-৭০০, দেশি মাগুর ৬৫০-৭০০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ১৫০-২২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।সুগন্ধি চালের মধ্যে কাটারি ভোগ ৮৫ টাকা, কাল জিরা প্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকায়। বিক্রেতারা প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি করছে ৪০-৪৫ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট ৪৮-৫৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে।আরএম/এসকেডি/আরএস/পিআর
Advertisement