বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। চীনে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে এই কদিনেই। আক্রান্ত আরও ৮০ হাজার। এছাড়া আরও অনেক দেশে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের দেশে এখনও এই রোগে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তাই বলে নিশ্চিন্তে থাকারও উপায় নেই। বরং এর প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত।
Advertisement
করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হলে তা কোনো উপকার বয়ে আনবে না। সতর্ক থাকার ক্ষেত্রে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ দিক যে বেশিরভাগ করোনাভাইরাস কেস হালকা এবং ফ্লুর মতো দেখা দিতে পারে। আবার আক্রান্ত অনেকেই সুস্থ হয়ে ফিরেছেন এই খবরটিও স্বস্তিদায়ক।
করোনভাইরাস কন্টেন্টমেন্ট টিমে কর্মরত ঝাও জিয়ানপিং বলেছেন, এমন অল্প সংখ্যক রোগী রয়েছেন যাদের প্রথমবার পরীক্ষার পরে নেগেটিভ এলে পরে আবার পরীক্ষা করে পজেটিভ এসেছে।
যেসব রোগীর ক্ষেত্রে দৃশ্যমান লক্ষণ ছাড়াই পরপর দুটি পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে তাদের করোনাভাইরাসমুক্ত ঘোষণা করা হয়। তবে তাদের পুনরায় পরীক্ষা করতে বলা হয়, যা আবার পজেটিভ আসতে পারে।
Advertisement
আপনার করণীয় কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যেকে নিজের সুরক্ষার জন্য নিচের স্বাস্থ্যকর পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
কেউ আক্রান্ত হলে তার থেকে দূরে থাকুন।
হাত সব সময়ের জন্য পরিষ্কার রাখুন। বাইরে থেকে ফিরে কিংবা খাওয়ার আগে ও পরে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
সবাই কফ, থুথু, সর্দি টিস্যুর সাহায্যে মুছতে বলুন এবং হাঁচি দেয়ার সময় মুখের সামনে আড়াল রাখতে বলুন। নিজেও এই কাজ করুন।
Advertisement
পরিবারের সবাইকে এই রোগ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে জানান।
আপনি ভ্রমণ বেশ পছন্দ করেন? তবু এই সময়ে ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে তা বাতিল করুন।
আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান।
চীনে লকডাউনের আওতায় থাকা কয়েক মিলিয়ন মানুষ রয়েছে এবং সারা পৃথিবীতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ঝাওর সাম্প্রতিক বিবৃতি অনুসারে, ‘করোনভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সবচেয়ে কঠিন সময়টি হুবেই পেরিয়ে গেছে। তবে আমাদের সজাগ থাকা দরকার, কারণ আমরা যদি বর্তমান ব্যবস্থাগুলো খুব বেশি শিথিল করি তবে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
এইচএন/এমকেএইচ