করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিদেশফেরত যাত্রীদের ১৪ দিন পর্যন্ত ‘স্বেচ্ছায় অন্তরীণ’ থাকা জরুরি বলে মনে করছেন রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা। বিদেশফেরত যাত্রীদের মাধ্যমে ভয়াবহ এ ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য গত ২১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্ক্যানার মেশিনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, হেলথ কার্ড ও হেলথ ডিক্লারেশন ফর্ম পূরণ করিয়ে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। শুরুর দিকে শুধু চীন থেকে আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলেও বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের স্ক্যানার মেশিন স্ক্যানিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আগত প্রায় ৯০ হাজার বিদেশফেরত যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
Advertisement
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, বিশ্বের ৫৭টি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া না গেলেও বাংলাদেশ করোনার ঝুঁকিমুক্ত নয়। বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলেও জ্বর মাপার স্ক্যানার মেশিনে রোগের লক্ষণ নাও ধরা পড়তে পারে। এ কারণে যাত্রীদের নিজে থেকেই সচেতন হয়ে নিজ বাসায় ১৪ দিন পর্যন্ত স্বেচ্ছায় অন্তরীণ রাখা প্রয়োজন।
এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকেও বিদেশফেরত যাত্রীদের বাসায় বা অফিসে অবস্থান করে তার নিত্যদিনের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার মতো পরিবেশ ও সহায়তা প্রদান করতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, বর্তমানে শাহজালালসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনসহ ছয়টি দেশের যাত্রীদের ওপর কঠোর নজরদারি করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। চীন ছাড়া বাকি পাঁচটি দেশ হলো- সিঙ্গাপুর, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও ইতালি।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, বিদেশফেরত যাত্রীদের স্বেচ্ছায় অন্তরীণ থেকে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন- এমন নিশ্চয়তা পাওয়ার পর ঘর থেকে বের হওয়া উচিত।
এদিকে বিদেশফেরত অনেকেই সচেতন হওয়ায় তারা নিজেরাই ১৪ দিন অন্তরীণ থাকতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে তিনি জানান।
এমইউ/বিএ/পিআর
Advertisement