বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চৌমুহুনী বাজার সংলগ্ন দিবা মাইঠা পোস্ট অফিসটি বছর সাতেক আগে নির্মিত। এই পোস্ট অফিসে ভাঙাচোরা একটি ডাক বাক্স থাকলেও সেখানে নেই কোনো চিঠি। সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকবাক্সটির মাথার উপরের অংশটুকু মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টির জলে পরিপূর্ণ এখন সেই ডাকবাক্সটি। ছবি তোলার সময় দু’তিনটি ব্যাঙেরও উপস্থিতি টের পাওয়া গেল ডাকবাক্সের ভিতরে।একটা সময় এ পোস্ট অফিসকে ঘিরে ব্যস্ত ছিল এ জনপদ। সময়ের বিবর্তনে এখন সেই পোস্ট অফিস শুধুই স্মৃতি। নির্জনে তালাবদ্ধ এ পোস্ট অফিসে নেই কোন মানুষের আনা গোনাও। এ অফিসের পোস্ট মাস্টার ডা. মোফাজ্জেল হোসাইন। পোস্ট অফিস থেকে আধা কিলোমিটার দূরেই চৌমুহুনী বাজারে তার একটি ফার্মেসি (ওষুধের দোকান) রয়েছে। সেখানেই চলে তার পোস্ট অফিসের কাজ।ভবন থাকতেও সেখানে কেন বসেন না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আগের মত আর চিঠি আসে না। যে দু’একটা চিঠিপত্র আসে তা তিনি তার ফার্মেসিতেই সেরে ফেলেন। তিনি বলেন, তার ওষুধের দোকানটি বাজারের মধ্যে হওয়ায় সাধারণ মানুষেরও উপকার হয়। বাজারে এলেই তাকে পাওয়া যায়।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু দিবা মাইঠা পোস্ট অফিসই নয়, বরগুনা সদর উপজেলাসহ জেলার ৬টি উপজেলায় শতাধিক ডাকঘরের অধিকাংশেরই একই হাল। এসব ডাকঘর পরিচালনায় তিন শতাধিক পোস্ট মাস্টার রয়েছেন।বরগুনার প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার মো.কামরুল আহসান জানান, একেক জন পোস্ট মাস্টার মাত্র ১১/১২শ টাকা সম্মানি পান। তাই একজন পোস্ট মাস্টারকে জীবিকার তাগিদেই পাশাপাশি অন্য কোনো কাজও বেছে নিতে হয়। তারপরও এ জেলার অধিকাংশ পোস্ট মাস্টার তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবেই পালন করছেন বলে তিনি দাবি করেন। সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এসএস/পিআর
Advertisement