প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মূলত গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথমবার করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই এই ভাইরাস চীনের বিভিন্ন শহরসহ বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। খবর রয়টার্স।
Advertisement
এদিকে চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে নতুন করে আরও ৪৭৬ জনের এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ফলে এখন পর্যন্ত সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৪ হাজার ২১২।
অপরদিকে, শনিবার দেশটিতে ৮১৩ জনের এই ভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। একদিনে এটাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা। অপরদিকে, রোববার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৫৮৬ জন এবং সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭৬।
কোরিয়া সেন্টার ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসন (কেসিডিসি) জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
Advertisement
করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ৩৭৭ জন দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দেগু শহরের বাসিন্দা। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত যতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশই ওই শহরের বাসিন্দা। অপরদিকে আক্রান্ত আরও ৬৮ জন কাছাকাছি উত্তর জিয়ংসাং প্রদেশের।
দেগু শহরের একটি চার্চের বেশ কয়েকজন সদস্য গত জানুয়ারিতে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ভ্রমণ করেছিলেন। এদের মধ্যে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ফলে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনার প্রভাব ছড়ানোর ক্ষেত্রে উহানই দায়ী কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী কিম গ্যাং-লিপ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী যত মানুষ মারা গেছে তার মধ্যে ৯০ শতাংশর বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চীনের হুবেই প্রদেশে। এদিকে, চীনে নতুন করে আরও ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশেই প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই চীনের বিভিন্ন স্থানসহ বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
চীনের বাইরে ১০টি দেশে করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইরানে এবং ৩০ জনের বেশি মারা গেছে ইতালিতে।
বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে মারা গেছে ৩ হাজার ৫৩ জন। প্রথমদিকে চীনের ভেতরেই এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লেও এখন চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
টিটিএন/পিআর