করোনাভাইরাসে কাঁপছে ইউরোপ। চীন থেকে উৎপত্তি হয়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সুদূর ফিনল্যান্ডে গিয়ে পৌঁছেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিনজনের মধ্যে কভিড-১৯ এর ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। রাতে ইউনিভার্সিটি হসপিটাল অব হেলসিংকির প্রধান কর্মকর্তা পাওলা ইসোপাহকালা করোনা সংক্রমণের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
Advertisement
তিনি জানান, উভয় রোগীই নারী ও ফিনিস নাগরিক, যাদের ইতোমধ্যে কোয়ারেন্টাইন করে ক্লিনিকাল স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকল অনুসারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ খবরে এখনও আতঙ্ক না হতে ফিনিসবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ফিনিস নারী মাত্র দুদিন আগে ইতালির মিলান থেকে ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরেছন। দ্বিতীয় করোনাভাইরাস শনাক্ত রোগীও কয়েকদিন আগে ইতালির উত্তরাঞ্চল ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরেছেন। অপরজন দেশটিতেই ছিল বলে জানা গেছে।
জানুয়ারির শেষদিকে উত্তর ফিনল্যান্ডের ল্যাপল্যান্ডে আগত ৩২ বছর বয়সী এক চীনা নারীর মধ্যে প্রথম সংক্রমণটি সন্দেহ হয়েছিল। কিন্ত তার মধ্যে কোনো গুরুতর লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
Advertisement
চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায় এবং মৃত্যু ইরানে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯৩ এবং মৃত্যু ৪৩ জনের।
এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালিতে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৮৬ হাজার ৫২৯ জন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ৪১ হাজার ৯৫৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর এটি চীনের বেশ কিছু শহরে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৮২৪ জন। অপরদিকে, মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮৭০ জনের। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ১৫০ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।
Advertisement
জামান সরকার/হেলসিংকি/এমআরএম/পিআর