আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাস : মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপে জনসমাগম-ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ

বিশ্বজুড়ে করোনভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় নাগরিকদের জনসমাগম ও ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, মধ্যপ্রাচ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। এসব দেশের শীর্ষ নেতারা বিশাল জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। একই সঙ্গে নিজ দেশের নাগরিকদের ওপর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।

Advertisement

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে একজনের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এটাই প্রথম কোনো মৃত্যুর ঘটনা বলে নিশ্চিত করেছেন মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

এদিকে, করোনভাইরাসের দ্রুত বিস্তার ঠেকাতে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ফ্রান্সিসকোসহ বেশ কয়েকটি শহরে ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

অপরদিকে, চীনের পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনায় দেশটির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানে এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯৩ এবং মৃত্যু ৪৩ জনের।

Advertisement

অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালিতেও ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মেক্সিকো সীমান্তেও নতুন করে কড়াকড়ি আরোপের পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তারা এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন নাগরিকদের করোনা আক্রান্ত এলাকায় সফর না করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশও নিজ নাগরিকদের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। সম্প্রতি জনসমাগমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে ফ্রান্স। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ১শ জন এবং মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে সুইজারল্যান্ডও জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা এনেছে।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৮৬ হাজার ৫২৯ জন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ৪১ হাজার ৯৫৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

Advertisement

শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৮২৪ জন। অপরদিকে, মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮৭০ জনের। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ১৫০ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।

অপরদিকে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা ইতালিতে। সেখানে ১ হাজার ১২৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর এটি চীনের বেশ কিছু শহরে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।

টিটিএন/জেআইএম