মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে ভর্তিচ্ছুরা এখন রাস্তায়। কর্তৃপক্ষের উচিত দাবি দাওয়ার ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলা। ভর্তিচ্ছুরা আন্দোলন করবে, রাস্তাঘাট অবরোধ করবে, পুলিশের লাঠিপেটা খাবে আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চেয়ে চেয়ে দেখবে এটা কোনো কাজের কথা হতে পারে না। এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়াটাই হবে সমীচীন। মেডিকেল ও ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় নেয়ার সিদ্ধান্তের জন্য সরকারকে আজ শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে তাদের দাবি না মানলে শনিবার থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র তানজিরা বিশ্বাস। একই সঙ্গে আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও ছাত্র-শিক্ষক বুদ্ধিজীবী সংহতি সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তারা।প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের মধ্যেই মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। বঞ্চিতদের আন্দোলনও জোরদার হতে থাকে। কিন্তু কারো কোনো কথা না শুনে সরকার মেডিকেলে ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করে। সরকারের পক্ষ থেকে বরাবরই প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানানো হয়। অপরদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন ফাঁসের নানা প্রমাণাদিও হাজির করে। গণমাধ্যমেও এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। কিন্তু সরকার বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় এবং ইতিমধ্যেই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করেছে। শুরুতেই প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়ে সরকার যদি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিত তাহলে পরিস্থিতি এ পর্যায়ে আসতো না। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ইউজিসির একজন কর্মকতাসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে র্যাব। পরে র্যাব হেফাজতে থাকাবস্থায়ই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর আরও জোরালো দাবি উঠতে থাকে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হলে এরচয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না। সেটা যদি মেডিকেলে ভর্তির মতো বিষয় হয় তাহলে তো কথায়ই নেই। এরফলে মেধাবীরা বঞ্চিত হয়। প্রশ্ন ফাঁস করে যারা চিকিৎসক হবেন তাদের নীতিনৈতিকতার বিষয়টিও প্রশ্নাতীত নয়। ঘটনা অনেকদূর এগিয়েছে। সব দিক মিলিয়ে এখন সরকারের উচিত হবে আন্দোলনকারীদের সাথে বসে বিষয়টির একটি যুক্তিগ্রাহ্য সমাধান। অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ থাকে না। শুধু অস্বীকার করেই সরকার তার দায় এড়াতে পারে না। বরং সমস্যা স্বীকার করলেই সমাধানের একটি পথ তৈরি হয়। সরকারকে সে পথেই হাঁটতে হবে। এইচআর/পিআর
Advertisement