দেশজুড়ে

মাদরাসাছাত্রীকে অজ্ঞান করে দলবেঁধে ধর্ষণ

কুমিল্লার হোমনায় জুসের সঙ্গে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে নবম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে অজ্ঞান করে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ধর্ষণের বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে ঘটনার আটদিন শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় মামলা করেন।

Advertisement

হোমনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কায়েস আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিম মেয়েটি উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের অনন্তপুর দড়িকান্দি হাজী মাজেদুল ইসলাম দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ওই এলাকায় একটি বাৎসরিক ওরশ উপলক্ষে মেলা বসেছিল। রাত ১১টার দিকে ওই ছাত্রী তার দুই বোন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে ওরশে গিয়ে মেলার বিভিন্ন কসমেটিকস দোকানে ঘোরাঘুরি ও কেনাকাটা করে। রাত ১২টার পরে ওই ছাত্রী তার বোনদের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে জয়পুর গ্রামের বেপারী বাড়ির মসজিদের সামনে জুয়েল রানা তার সহযোগীদের নিয়ে জোরপূর্বক তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়।

পরে জুয়েল রানা তার সঙ্গী আল আমিনের সহায়তায় তাকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে একই গ্রামের মো. আরিফুল ইসলামের একটি খালি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই অন্যরা উপস্থিত ছিল। সেখানে ওই ছাত্রীকে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞানের পর পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন ভোরে স্থানীয় একটি পুকুর পাড়ে ওই ছাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে।

ওসি আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, ঘটনাটি প্রথমে ফেসবুক থেকে জানতে পারি। পরে আমি নিজেই ঘটনাস্থল যাই এবং ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি। শনিবার বিকেলে মেয়েটির মা বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

Advertisement

কামাল উদ্দিন/আরএআর/জেআইএম