প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার অভিযোগ তোলায় বিরোধী দলের কড়া সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাম্প। নিজ প্রশাসনের ব্যর্থতা নয়, বরং ডেমোক্র্যাট সরকারের অভিবাসন নীতির কারণেই এই ভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি, করোনাভাইরাস নিয়ে দেশটিতে চলমান সমালোচনাকে বিরোধীদের ‘নতুন ধাপ্পাবাজি’ বলেও মন্তব্য করেছেন এ রিপাবলিকান নেতা।
Advertisement
শুক্রবার দক্ষিণ ক্যারোলিনার উত্তর চার্লসটনে এক জনসভায় ট্রাম্প বলেন, ডেমোক্র্যাটরা করোনাভাইরাস নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। রুশ তদন্ত আর অভিশংসন কাণ্ডের পর এটি তাদের নতুন ধাপ্পাবাজি। তিনি বলেন, ডেমোক্র্যাটরা সবসময় ভয়ঙ্কর কথাই বলবে। তারা আমাদের চরমভাবে ব্যর্থ বানাতে চায়।
করোনাভাইরাসে এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে প্রায় তিন হাজার মানুষ মারা গেছেন, আক্রান্তের সংখ্যা লাখের কাছাকাছি। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
তবে এসবে থোড়াই কেয়ার মার্কিন প্রেসিডেন্টের। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, এর চেয়ে সাধারণ ফ্লুতেই বেশি মানুষ মারা যায়- এমনটা বেশ কয়েকবারই বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মতে, এ সংক্রমণ মোকাবিলায় ‘অসাধারণ ব্যবস্থা’ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
Advertisement
ভাইরাস সংক্রমণের কারণে চীনফেরত বিদেশি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমার প্রশাসন ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ইতিহাসের সবচেয়ে আগ্রাসী ব্যবস্থা নিয়েছে।
এদিন আবারও সাধারণ ফ্লুর সঙ্গে করোনাভাইরাসের তুলনা করে ভুল তথ্য উপস্থাপন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ফ্লুতে প্রতি বছর গড়ে ৩৫ হাজার লোক মারা যায়, সেটাও তো অনেক মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত অন্তত ৬২ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে এখনও কেউ মারা যায়নি। এ নিয়ে গর্ব করে ট্রাম্প বলেন, করোনাভাইরাসে আমরা এখনও কাউকে হারাইনি। বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য তিনি উল্টো গণমাধ্যমগুলোকেই দায়ী করেন।
এছাড়া, ডেমোক্র্যাট সরকারের অভিবাসন নীতির কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস প্রবেশ করতে পারে মন্তব্য করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা এই ভাইরাসের কথাই বলি বা অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকির, ডেমোক্র্যাটদের সীমান্ত খুলে দেয়ার নীতি সব আমেরিকানের সুস্থতার জন্যই হুমকি।
সূত্র: এনবিসি নিউজ, দ্য গার্ডিয়ান
Advertisement
কেএএ/এমএস